প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর (মোটরসাইকেল প্রতীক) নির্বাচনী প্রচারণার মাঠের পাশেই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের কুদ্দুস বেপারী হাই স্কুল মাঠের পাশেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাজিরা থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ককটেল বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এবার উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। নির্বাচনের মাঠ থেকে মোটরসাইকেল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঠ ছাড়া করতে ও ভোটারদের মধ্যে ভয় ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রচারণার মাঠের পাশেই ককটেল বিস্ফোরণ করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাচনে অনন্য প্রার্থীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আমিনুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক), নান্নু মিয়া (আনারস প্রতীক), জাজিরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন (কাপ পিরিচ প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মোহাম্মদ সামচুল হক খান (দোয়াত কলম প্রতীক)।
মোটরসাইকেল প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী জানান, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বিলাশপুর ইউনিয়নের কুদ্দুস বেপারী হাই স্কুল মাঠে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে মাঠের পাশেই দুর্বৃত্তরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে তার জনপ্রিয়তা বেশি। এতে পরাজয়ের ভয়ে জাজিরায় যারা সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত, তারা এ ককটেল হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করবেন।