প্রকাশ: শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:০৩ পিএম আপডেট: ১৩.১২.২০২৫ ৩:০৫ PM

গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমায় তিনি বয়ান করেছেন বাদ ফজর। সেখান থেকে শতশত মাইল পাড়ি দিয়ে বাদ মাগরিব তিনি বয়ান করেছেন রংপুর বিভাগীয় ইজতেমায়। আবার ফজরের পর ঢাকার মাশওয়ারায় শরীক হয়েছেন।
তাকে বলা হলো আপনার জন্য হেলিকপ্টার ব্যাবস্থা করি। তিনি বললেন এটি উলামাদের শান। আমি গাড়িতেই এই লম্বা সফর করবো ইনশাআল্লাহ।
বয়েস তার ৮০কোটায়। চলেন হুইল চেয়ারে। কিন্তু আল্লাহর গায়বে মদদ ও নুসরত তার সাথে। তার এই হুইল চেয়ারই যেন রাজসিংহাসন। এটাতে বসেই তিনি সারা দুনিয়ার খোঁজ নেন। ঘুরে বেড়ান দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত।
এই তো সেদিন তিনি থাইল্যান্ড ইজতেমায় শরীক হলেন। সেখান থেকে মালশিয়া ইজতেমায়। তার পর অস্ট্রেলিয়া ইজতেমা শেষ করে দেশে ফিরলেন। এভাবে আরব আজম ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়া আফ্রিকার দেশগুলোতে তিনি বয়ান করে বেড়ান।অস্ট্রেলিয়া ইজতেমা থেকে দেশে ফিরেই আবার বিভাগীয় ইজতেমার জন্য বের হয়ে গেলেন।
দাওয়াত কাজে তার দীর্ঘ কুরবানী ও মুজাহাদা রয়েছে। পেয়েছেন দুনিয়া বিখ্যাত মনীষীদের নিকটসান্নিধ্য। তার সংগঠনিক প্রজ্ঞা আর অসাধারন নেতৃত্ব গুন কেবল অবাক করার মতোই নয় বরং বিস্ময়কর। তিনি ঘুমান খুবই অল্প, কাজ করেন দীর্ঘ সময়। দেশ পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যার খেদমত বিস্তৃত।
তার কাছে বসলে দেখা যায়, হিন্দুস্তান পাকিস্তান থেকে কল আসে তিনি উর্দূতে অনর্গল কথা বলেন। মাওলানা তারিক জামিলের মতো মহান দাঈরা তাকে কল করে কুশলাদী জিজ্ঞেস করেন। আবার দেখা যায় আরবের কোন বড় শায়েখের কল তিনি ফোন রিসিভ করে সুন্দর আরবীতে কথা বলেন। আবার ইউরোপ বা আমেরিকা থেকে কল আসে। এমন কেউ কখনো ফোন করেন যারা তার হাতেই ইসলামের আলো পেয়েছেন। তিনি অনর্গল ইংরেজীতে কথা বলেন। একজন দাঈ তার মাঝে যতগুন থাকা দরকার। একজন আমীর তার মাঝে যত যোগ্যতা থাকা দরকার, সবকিছুর সমাহার তিনি।
বলেছিলাম বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমীর মুবাল্লীগে ইসলাম হযরত সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম দা.বা. এর কথা।
আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুন। সুস্থতা ও আফিয়তের সাথে রাখুন। আমাদের মাথার উপর তার ছায়াকে আরো দীর্ঘ করুন। আমিন