
মতলব উত্তর উপজেলার বেড়িবাঁধ এলাকায় অবৈধ বালু পরিবহনের পাইপলাইন অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহমত উল্ল্যাহ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ৬৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রক্ষা ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ছেংগারচর বাজার ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মোহনপুর বাজার, এখলাছপুর বাজার, নতুন বাজার, আমিরাবাদ বাজার ও জনতা বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহমত উল্ল্যাহ। অভিযানে মতলব উত্তর থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
অভিযানকালে বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের জন্য স্থাপিত সকল পাইপলাইন অপসারণ করা হয়। এছাড়া লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালানোর দায়ে তিনজন ট্রাক চালককে মোট ১০ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে একই এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিযানে অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করা হলেও অভিযানের পরপরই অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা পুনরায় বেড়িবাঁধের উপর পাইপলাইন স্থাপন করে অবৈধ কার্যক্রম চালু করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই পাইপলাইনের কারণে বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে ফাটল ধরছে, যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। প্রশাসন অভিযান চালালেও বারবার তারা আবার বসিয়ে ফেলে। স্থায়ী ব্যবস্থা না হলে বেড়িবাঁধ রক্ষা করা যাবে না।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহমত উল্ল্যাহ বলেন, বেড়িবাঁধ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এখানে অবৈধভাবে পাইপলাইন স্থাপন ও লাইসেন্সবিহীন যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ অভিযানে সকল অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনির বলেন, কয়েক মাস আগেও আমরা একই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এরপরও কেউ যদি আইন অমান্য করে পুনরায় অবৈধ পাইপলাইন স্থাপন করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেড়িবাঁধ রক্ষা ও জনস্বার্থে প্রশাসন কোনো ছাড় দেবে না।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে বেড়িবাঁধ এলাকায় অবৈধ বালু পরিবহন, পাইপলাইন স্থাপন ও ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।