সোমবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: নতুন পে-স্কেল নিয়ে যে সুখবর আসছে এই মাসেই!   মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সয়াবিন তেলের দাম যত বাড়ল!   আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা   দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন যুবদল নেতা    পিরোজপুরে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়    ভুরুঙ্গামারীতে নবাগত ইউএনও'র মতবিনিময় সভা   টাঙ্গাইলের সরকারি এমএম আলী কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমীর কে এই সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম
সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ
প্রকাশ: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৪৬ পিএম আপডেট: ০৭.১২.২০২৫ ৭:১৯ PM

কিছু মানুষ আছেন যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা তার দ্বীন কায়েম করার জন্য দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। তারা নিজের জীবন-যৌবন সবকিছুকে উজার করে দিয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমকে নিজের জীবনের মিশন ও ভিশন হিসাবে বেছে নেন। এমনই একজন র্কমবীর দ্বীনের মহান খাদেম মুবাল্লিগে ইসলাম দাঈ হযরত সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের নতুন আমীর নিযুক্ত হয়েছেন। যদি বিগত ৩০ বছর ধরে তিনি দাওয়াত ও তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বি ও দুনিয়া বিখ্যাত একজন ইসলাম প্রচারক হিসাবে সর্বমহলে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি ও তাবলীগ জামাতের আহলে শূরা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি বিশ্ব বিখ্যাত আলেম, পীর-মাশায়েখ, ইসলামী স্কলারদের নিকট দীর্ঘ সময় সান্নিধ্য লাভ করেন। 

এমনকি ২০১৭ তাবলীগের চিরচেনা পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান থেকে তাবলীগ জামাতের আলমী শূরার যখন কমিটি গঠন করা হয়, তখনও তাকে ১৩ সদস্যের একজন হিসাবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু এই সাহসী মানুষটি এই ষড়যন্ত্রকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহমতুল্লাহ আলাইহি এর ইমারতভিত্তিক দাওয়াতের কাজকে আঁকড়ে থাকেন। নিজামুদ্দীন বিশ্ব মারকাজের আমীর মাওলানা সা’দ কান্ধরভীর আনুগত্য প্রকাশ করে বাংলাদেশের হাল ধরেন। তার বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে শত অপপ্রচার, ফতোয়াবাজী আর ষড়যন্ত্রের পরও আলমী শূরার এই নতুন ফিতনা থেকে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ সাথীকে আল্লাহ হেফাজত করেন। 

সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ১৯৪৭ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম ফারুকুল ইসলাম, মাতা মসলেহা ইসলাম। পৈতিৃক নিবাস সিরাজগঞ্জের কুড়িপারায়। বাদশাহ আওরঙ্গজেব ইসলাম প্রচারক আওলাদে রাসূল হযরত শাহ সুফী নওফেল [রহ.]-কে এই অঞ্চলের জায়গীরদারী দিয়ে দ্বীন প্রচারের জন্য এখানে পাঠিয়েছিলেন। তার পূর্বপুরুষগণ দিল্লী রাজপরিবারের ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন। এরা ইরাকের বাগদাদ থেকে দিল্লী এসেছিলেন। তার আগে মদীনা থেকে বাগদাদে ইসলামী সালতানাতে গুরুত্বপূর্ণ পদে এই বংশের লোকেরা কাজ করেছেন। তাদের পারিবারিক নসবনামা বিদ্যমান আছে। একটি ঐতিহ্যবাহী ধনাঢ্য শরীফ খান্দান হিসাবে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম সাহেবের পরিবার সুপ্রসিদ্ধ ছিল। তিনি পারিবারিক সেই উত্তরাধিকারী হয়েছেন। তার চালচলন, শরাফতি, আভিজাত্য সবই ছিল উঁচা সৈয়দ খান্দানের প্রভাবে প্রভাবিত।

সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন ১৯৭০ সালে। এসময় দেশে স্বাধিকার আন্দোলন শুরু হলে তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বীরত্বের সাথে সরাসরি অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে আনেন।

মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে চাকুরি নেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার হাজী আব্দুল মুকিত [রহ.]-এর সাথে পরিচিত হন।

হাজী সাহেবের প্রচেষ্টায় তাবলীগের মেহনতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় তার পিতা ধানমন্ডিতে বাড়ি নির্মাণ করলে বাড়ি ও ব্যাবসা থেকে আয় আসতে থাকে। তখন তিনি চাকুরি ছেড়ে একনিষ্টতার সাথে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৯ হাজী আব্দুল মুকিত সাহেবের নির্দেশে তিনি পরিবার পরিজনসহ দাওয়াতের কাজে আমেরিকায় পাড়ি জমান। সেখানে একটানা দশ বছর দাওয়াতি কাজ করেন। অসংখ্য মানুষ তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করে। ১৯৯০ সালে আমেরিকা থেকে এসে আবার সৌদি আরবে পরিবারসহ আরবদের মাঝে দাওয়াতের কাজের জন্য পাড়ি জমান। তার স্ত্রী মদীনা শরীফে থেকে আরব নারীদের মাঝে তাবলীগের কাজের সূচনা করেন। 

তিনি রাজবাড়ী জেলার বিখ্যাত চেীধুরী পরিবারে বিবাহ করেন। তার স্ত্রী বিবাহের পর তার সাথে দাওয়াতের কাজে জড়িয়ে পড়েন। তার স্ত্রী পৃথিবীর মধ্যে এমন একজন মহিলা, যিনি ২৫/৩০টি দেশ দাওয়াতের কাজে সফর ও অসংখ্য হজ¦-মরা করার পরও তার পাসপোর্টে কোন ছবি ব্যবহার করতেন না। বিশেষ সুবিধায় পর্দানশীন মহিলা হিসাবে সারা জীবন কুদরতীভাবে ছবি ছাড়াই সারা দুনিয়া সফর করে ইতিহাস তৈরি করেছেন। বাংলাদেশে নারীদের দ্বীনী জাগরণের তিনি ছিলেন পথিকৃত। এক মহিয়সী মুবাল্লিগ রমনী। মাস্তুরাতের মাঝে দ্বীনী মেহনতের বুনিয়াদ যে ক’জন মহান নারীদের হাত ধরে এদেশে পথচলা শুরু করেছিল, তিনি তাদের অন্যতম। দ্বীনী দাওয়াতের কাজে তিনি ছিলেন স্বামী ও সন্তানের অন্যতম সহযোগী। স্বামী ও সন্তানের সাথে তিনি আল্লাহর রাস্তায় সফর করেছেন পৃথিবীর বহুদেশ ও জনপদ। তার হাত ধরে ইসলামের ছায়াতলে এসেছেন পথভোলা লাখো নারী। তাদের মাধ্যমে তাবলীগে মাস্তুরাতের মেহনত ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। নিজ দেশে মেহনতের পাশাপাশি তিনি বহুদেশে সফর করেছেন। এমন কোন মাস্তুরাত বাংলাদেশে নেই, তার মত দ্বীনের জন্য এতো বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। সারা দুনিয়ায় বড় বড় মুবাল্লিগ আর দুনিয়াদার মানুষের স্ত্রী-কন্যা-মাকে এই মেহনতে লাগিয়ে তাদের মাধ্যমে পুরুষদের আগে বাড়িয়েছেন। কেবল আল্লাহই ভালো জানেন, কত অগনিত পথহারা পরিবার এই মহিয়াসী নারীর মাধ্যমে হেদায়াতের পরশ পেয়েছেন।

৮০/৯০ দশকে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমীর তৃতীয় হযরতজী মাওলানা ইনামুল হাসান [রহ.] টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা শেষ করে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম [দা.বা.]-এর বাসায় আসতেন।

এরপর হযরতজী মাওলানা ইনামুল হাসান [রহ.]-এর ইন্তেকালের পর মাওলানা জুবায়েরুল হাসান কান্ধলভী [রহ.] একইভাবে নিজামুদ্দীন-এর হযরতদের নিয়ে এই মহিয়সীর দাওয়াত কবুল করতেন। বর্তমান হযরতজী মাওলানা সা’দ সাহেব [দা.বা.] একইভাবে ইজতেমার পর এই বাসায় প্রতি বছর এসেছেন এবং এই মহীয়সীর হাতের খাবার খেয়েছেন। তিনি খাদিজা [রাযি.]-এর মত স্বামীকে যুগের সর্বোচ্চ সাপোর্ট করেছেন। যখন ঘর থেকে একজন পুরুষ দ্বীনী কাজে উৎসাহ পান তখন তার কাজে অনেক বরকত পান। হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়ত লাভের পর স্ত্রী খাদিজাতুল কুবরা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক তেমনি মহান দাঈ সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম সাহেবের পাশে তিনি আজীবন ছিলেন ছায়ার মতো। দ্বীনী কাজের প্রধান সহচর। দাওয়াতের নববী কাজের সহযোগী। স্বামীর সাথে পৃথিবীর নানান দেশ সফর করেছেন জীবিত অবস্থায়। তাবলীগের অতি সংকটময় সময়ে তিনি সৈয়দ ওয়াসিফ সাহেবের পাশে বড় সাহারা হয়েছিলেন। তার মেহমানদারীর মেজাজ ছিল প্রথম জামানার নারীদের মতো। সাহাবীদের মতো মেহমান এলে তার দীল খুশি হতো। ফলে তার বাসায় আল্লাহর রাস্তার দেশি-বিদেশি মেহমানদের একটি চেইন সবসময়ই লেগে থাকতো। 

এদেশের উলামায়ে কেরামের খেদমতে এই মহিয়সী নারীর উদাহরণ কেবল তিনিই। ঢাকার এমন শীর্ষ উলামায়ে কেরাম খুব কমই আছেন, যিনি একাধিকবার তার হাতের রান্না খাননি। শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক [রহ.]-এর পরিবারসহ অনেক উলামায়ে কেরামের পরিবারের সাথে তার সুগভীর হৃদ্যতা ছিল। আহলিয়ায়ে শায়খুল হাদীস প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত আসতেন তার কাছে। শায়খুল হাদীস [রহ.]-এর পক্ষ থেকে অনুমতি ছিলো, ‘ওয়াসিফ সাহেবের বাসায় যাওয়ার জন্য তোমার ইজাযতের প্রয়োজন নেই।’ বিশ্বের বড় বড় বুজুর্গ আলেম ও মুবাল্লিগদের তিনি খেদমত করেছেন। বিশেষ করে নিজামুদ্দীন-এর এমন কোন হযরত নেই, যিনি তার বাসায় আসেননি এবং তার হাতের খাবার গ্রহণ করেননি। এককথায় তিনি ছিলেন খাদিজা [রাযি.]-এর মতো দ্বীনের নিবেদিতপ্রাণ এক রমনী। আল্লাহ তাকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন। হজ্ব ও উমরাহ্ করেছেন অন্তত ৪০ বারের কাছাকাছি। এই দম্পতির সন্তান বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন দাঈ মুফতী উসামা ইসলাম [দা.বা.]।
দাওয়াতের কাজে জড়িয়ে পরার পর থেকেই সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম সাহেব এই কাজকে জীবনের মূলমন্ত্র হিসাবে বেছে নেন। ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা জেলার জিম্মাদারী আদায় করতে থাকেন। এই সময় কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি হযরত মাওলানা লুৎফুর রহমান [রহ.], মাওলানা হরমুজ উল্লাহ [রহ.], হযরত মাওলানা মুনীর আহমদ [রহ.], হযরত মাওলানা আলী আকবর [রহ.], হযরত মাওলানা আশরাফ আলী [রহ.], আলহাজ¦ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মুকীত [রহ.], মাওলানা জমির উদ্দীন [রহ.], হযরত মাওলানা আবুল ফাতাহ [রহ.], হযরত মাওলানা রূহুল কিসত [রহ.], হযরত মাওলানা লুৎফর রহমান [রহ.]-এর সোহবত ও নৈকট্য লাভ করেন। এসময় তিনি কাকরাইল মসজিদকে আপন ঠিকানা বানিয়ে নেন। বাংলাদেশের মুরুব্বি ছাড়াও তিনি বিদেশি মেহমানদের খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দেন। দাওয়াতের কাজ আর বড়দের সোহবত, খেদমত ও সান্নিধ্য লাভকে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম নিজের জীবনের ব্রত হিসাবে বেছে নেন। তিনি আরব-আজমের বড় বড় শায়েখদের সোহবত লাভ করেছেন। এসময় তিনি বড়দের সোহবতে দেশ পেরিয়ে বিদেশ সফর করেন। ৮০ এর দশক থেকেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইজতেমায় আম-বয়ান করতে থাকেন। এসময় তিনি বারডেমের ডাইরেক্টর পদ গ্রহণ করেন এবং পাশাপাশি দাওয়াতের কাজে আত্মনিবেশ করেন। ৯০ এর দশকে দিল্লীর নিজামুদ্দেিনর মুরুব্বিদের সাথে ইউরোপে লম্বা সফর করেন। তার এই সফরে তাবলীগের বর্তমান বিশ্ব আমীর মাওলানা সা’দ কান্ধলভী সাথে ছিলেন। এই সময় তাবলীগ জামাতের তৃতীয় বিশ্ব আমীর হযরতজী ইনামুল হাসান [রহ.] কয়েকবার বাংলাদেশে সফর করলে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার সোহবাত লাভ করার সৌভাগ্য লাভ করেন। তখন বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে আছরের পর তাকে বয়ান দেয়া হয়। ১৯৯৯ সালে নিজামুদ্দীন মারকাজ থেকে তাকে বাংলাদেশ তাবলীগ জামাত ও কাকরাইল মসজিদের শূরা হিসাবে মনোনীত করা হয়। ২০০৩ সালে তাকে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের ফায়সাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। 

কাকরাইল মসজিদের মহান বুজুর্গ মনীষা আলেমদের সোহবত ছাড়াও তিনি সুলুক ও তাসাউফ এর জন্য তৃতীয় হযরতজী ইনামুল হাসান [রহ.]-এর হাতে বাইয়াত হন। এর পর তাবলীগ জামাতের মহান দাঈ, মদীনা শরীফের জিম্মাদার মাওলানা সাঈদ খান [রহ.]-এর সোহবতে তিন বছর ইলম ও মারিফতের দীক্ষা গ্রহণ করেন। 
এছাড়া তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের খ্যাতিমান কৃতি সন্তান মাওলানা ওমর পালনপুরী [রহ.]-এর দীর্ঘ সোহবত ও সান্নিধ্য লাভ করেন। নিজামুদ্দীন মারকাজের মুকিম মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা, মাওলানা আহমদ লাট, মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেব, মাওলানা জামশেদ সাহেব, মিয়াজি মেহরাব সাহেব সহ দেশ-বিদেশের অনেক দাঈ আলেমদের নিকট সান্নিধ্য লাভ করেন। পাকিস্তান তাবলীগ জামাতের আমীর হাজী আব্দুল ওয়াহাব [রহ.] একান্ত স্নেহভাজন শিষ্য ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের সাথে তার সুগভীর সম্পর্ক ছিল। মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর, পীরজী হুজুর, সহ অনেকের সাথে সুগভীর সম্পর্ক ছিল। শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক [রহ.]-এর সাথে তার গভীর হৃদ্যতা ছিল। জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠার সময় তিনি বিশেষ সহযোগিতা করেন। এভাবে ঢাকা ও দেশের আনাচে-কানাচে তার সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা তৈরি হয়েছে। একসময় তিনি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে লেখালেখি করতেন। ২০১৩ সালে হেফাজত আন্দোলন শুরু হলে তিনি নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার পক্ষে ইংরেজিতে বহু প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেন। ১৩ সালের ৫ মে শাপলা ট্রাজেডির দিন সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি তাবলীগ জমাতের সকল ডাক্তারদের একত্র করে কাকরাইল মসজিদে আহত ও নিহতেদের বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু করেন। এভাবে এদশের তাওহিদী জনতার সকল ন্যায্য আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি নিরব খাদেমের ভূমিকা পালন করেন।

একজন বিচক্ষণ সংগঠক ও মুখলিস দাঈ হিসাবে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তার নেক হায়াত দান করুন। আমীন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com