
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসে ১৫তলা বিশিষ্ট সেনা সদস্যদের পারিবারিক বাসস্থান 'সেনানীড়' উদ্বোধনকালে সেনা প্রধান এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি স্টেশন অফিসার্স মেস-বি, ডিভিশন মডেল রুম, ডিভিশন সুইমিং পুল, গ্যারিসন মসজিদ-৩ এর উদ্বোধন করেন।
সেনাপ্রধান বলেন, সারাবিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ স্মার্ট হচ্ছে সেই সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও স্মার্ট হতে হবে। ভবিষ্যত টেকনোলজি, রণকৌশল ও বিশ্বপরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থাপনাগুলো তৈরির মাধ্যমে সেনাসদস্যদের জীবনযাত্রার মান আগের চেয়ে আরামদায়ক হবে। তা সেনাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। উচু মনোবল থাকলে তখনই আপনারা সঠিক প্রশিক্ষণ করতে পারবেন এবং আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো সেবা করা, বহিঃশত্রু থেকে দেশকে রক্ষা করা।
সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়ে আমাদের সব সময় কাজ করতে হবে। কষ্ট করার জন্যই আমরা সেনাবাহিনীর এই চ্যালেঞ্জিং পেশায় এসেছি। নিজেদের প্রস্তুত করে দেশে বিদেশে সরকার কর্তক যেকোন দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে মানুষের কাছে আমাদের নিজেদের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ যদি আজ স্বাধীন না হতো, এর অনেক উন্নয়নই হতো না। এটা আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি। তাই আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, যাদের জীবনের সুবর্ণ সময়টা আমাদের জন্য আত্মত্যাগ করে গেছেন, তাদেরকে ভুললে চলবে না। গুণীর গুণগান না গাইলে গুণী তৈরি হয় না। যারা আমাদের জন্য আত্মত্যাগ করেছে, সেইসমস্ত বীরদের কথা স্মরণ করতে হবে, তাদের প্রশংসা করতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতের প্রজন্ম প্রয়োজনবোধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করতে পিছু পা নয়।
অনুষ্ঠানে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বরিশাল এরিয়া, সেনাসদর ও বরিশাল এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তারারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের পাতা/কে