প্রকাশ: রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশে নির্দয়ভাবে রমনা থানায় নিয়ে পিটিয়েছেন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এটি প্রকাশ্য। কারণ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর নিন্দা হচ্ছে; প্রতিবাদও হচ্ছে।
কিন্তু কয়জন জানেন যে বেপরোয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে গায়ে হাত তুলেছেন একজন উপসচিবের গায়েও!!!
রুচিহীন ওই পুলিশ কর্মকর্তার অশালীন কর্মকাণ্ডের কথা ভেতরে ভেতরে ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তাই জানেন। কোনো ব্যবস্থা তারা নেননি। কেন???
এমন বেপরোয়া দুই চারজন পুলিশ কর্মকর্তাই কি গোটা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্টের জন্যে যথেষ্ঠ না?
বরগুনাতে ধীরেন্দ্রনাথ সম্ভু এমপির সঙ্গে মারমুখী আচরণ করা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? হয়নি। কেন???
সরকারি চাকরিতে থেকে বেপরোয়া আচরণ, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, আইন হাতে তুলে নেওয়া এবং যা খুশি তাই আচরণ করে কতিপয় কর্মকর্তা সরকারের সীমাহীন ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন কি উদ্দেশ্যে????
কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়না????? এসব কিসের আলামত? ঘুরে দাঁড়াতে হবে এখন থেকেই। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়- এই বার্তা দিতে কতিপয় বেপরোয়া উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাবলিক সার্ভিসে পেশাদারিত্বই হোক শেষ কথা; অন্য কোনো পরিচয়ে কম মেধাবীরা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবে আর তাদের কেউ কেউ আকণ্ঠ অনিয়মে জড়িয়ে পড়বে-এটা চলতে পারেনা।
(লেখাটি ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া)