প্রকাশ: সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনের পাশে সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে স্পিডবোটসহ ফাইবার গ্লাসের যাবতীয় মেটারিয়াল তৈরির ছাড়পত্রবিহীন কারখানা। সার্ভিস লেনের সড়ক ব্লকের ওপরে লাইন ধরে রাখা হয়েছে অসংখ্য স্পিডবোট ও যাবতীয় মালামাল। এতে ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অপরদিকে অপরিকল্পিতভাবে সড়কের পাশে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের ফলে সার্ভিস লেনের পানি নিস্কাশণে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই ঢলের পানিতে সড়ক জলাবদ্ধ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর ও দোগাছির মাঝামাঝি রেল স্টেশনের বিপরীত দিকে অথাৎ সড়কের পশ্চিম পাশের সার্ভিস লেনের জায়গায় গড়ে উঠেছে ‘রূপা মটর ওয়ার্কসপ এন্ড ফাইবার গ্লাস’ নামক করাখানাটি।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ এ বিষয়ে পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদ প্রকাশিত হলেও কারখানাটি বহাল তবিয়তে রয়েছে। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টিনশেড কারখানায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন। লক্ষ্য করা যায়, কারখানায় স্পিডবোট তৈরির কাজ চলছে। বিভিন্ন ক্যামিকেলের সংমিশ্রনে ফাইবার তৈরি হচ্ছে। যত্রতত্রভাবে সড়কের জায়গা ভরাট ও কারখানা স্থাপণের ফলে সার্ভিস লেনের পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বৃষ্টির ঢলের পানি সার্ভিস লেনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া কারখানার পূর্ব পাশে সড়কের জায়গা ভরাট করে অপর এক ব্যক্তি বালু কেনাবেচা করছে বলে কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছে। কারখানরটির ম্যানেজার মো. তপু শেখ বলেন, দুই মাস যাবত এখানে কারখানাটি আনা হয়েছে। এর আগে কারখানাটি মাওয়া ঘাট এলাকায় ছিল। কারখানাটির কর্ণধার পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার মেদেনী মন্ডল এলাকার মো. খলিল বেপারী বলেন, কারখানাটি আগামী ১০ তারিখের ভেতর অনত্র নিয়ে যাবো। আজাহার উকিল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকায় এক্সপ্রেসওয়ের পাশে জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন তিনি।
সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী (শ্রীনগর জোন) দেবাশীষ বিহারী দাস জানান, এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের আওতায় নেই। তবে আমি এর আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি কা ন কুমার সিংহ জানান, আমি এ বিষয়টি অবগত নই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।