প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩, ৯:৫০ পিএম আপডেট: ২৯.০৮.২০২৩ ১০:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আধিপত্য বিস্তার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ দু'গ্রুপের কোন্দলের জের ধরে আসাদুজ্জামান (৩২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন নাহিদ নামে এক যুবক। নিহত আসাদুজ্জামান আসাদ উপজেলার তারাটী পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৯টার দিকে মুক্তাগাছা পৌর শহরের আটানী বাজার এলাকায়।
নিহতের চাচাতো ভাই কাজী আলমগীর হোসেন জানান, রাতে আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে চা পান করছিল। রাত ৯টার দিকে ১৫-২০ জন যুবক চাইনিজ কুড়াল, রড ও হকিস্টিক নিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তারা উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আসাদের দুই পা, হাত থেঁতলে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ড্রেনের ওপর ফেলে রেখে যায়।
পরে আসাদকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় আসাদের সঙ্গে থাকা নাহিদ নামের অপর এক যুবক আহত হয়। নাহিদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আলমগীর অভিযোগ করে বলেন আসাদ যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। এর আগেও আসাদকে একবার পিটিয়ে আহত করা হয়। সে ঘটনায় থানায় মামলা চলমান। সেই মামলার আসামিদের নেতৃত্বেই আসাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, আসাদুজ্জামান উপজেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ও সাবেক কমিটির সদস্য। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের অনুসারী ছিলেন। আর এ কারণেই দলীয় প্রতিপক্ষ দমন করতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হাত-পা ভেঙে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবুর অনুসারী পৌর মেয়র মো. বিল্লাল হোসেন সরকার জানান এটি রাজনৈতিক হত্যাকা- না। আমার ধারণা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে তাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তের এ হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
নিহতের পরিবার জানায়, গত ঈদের আগে আসাদুজ্জামানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় মামলাও চলছে। মূলত ওই ঘটনার জের ধরেই স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরের নির্দেশে এ হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও যুবলীগ নেতা মনিরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ জানান,এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।