মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১ আশ্বিন ১৪৩০

শিরোনাম: তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ দল!    নাগোরনো-কারাবাখে জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ২০    রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৩    শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান    খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী    ভোটের দিন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নতুন নির্দেশনা দিলো ইসি    বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম কাদেরের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বন্দিরা পাচ্ছেন ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ
বদলে গেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
উৎপল দাস
প্রকাশ: সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩, ৬:০৪ পিএম আপডেট: ২১.০৮.২০২৩ ৭:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

কারাগার মানেই নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম, এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু হয়েছে সংস্থাটি। কারাগারে বন্দিরা আত্নশুদ্ধির পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে আয়ও করতে পারছেন। ফলে বদলে গেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিত্র। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে সংশোধনাগার এবং বন্দিদের হাতকে কর্মীর হাতে রূপান্তরে সফল হয়েছে কারাগারটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে এবং কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেঃ জেনাঃ এ এস এম আনিসুল হকের নির্দেশনায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে বদলে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ দিনরাত পরিশ্রম করে কারাগারটিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারা বিভাগের মূলমন্ত্র “রাখিব নিরাপদ,দেখাব আলোর পথ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে  সরকার ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘‘কারাগারকে সংশোধনাগার’’এ রুপান্তরের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরাণীগঞ্জে বন্দি সংশোধন ও পুনর্বাসনের নিমিত্ত অত্র কারাগারে কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাশ্রমে আগ্রহী বন্দিদের মোটিভেশনাল কার্যক্রম ও বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এবং বন্দিরা ও প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছে। বন্দিদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য কারাগারের সম্মুখে স্থাপিত শো-রুমে শো অফ করা হয় এবং আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলাতে উক্ত পণ্য প্রেরণ করা হয়। এসব পণ্য বন্দি, ক্রেতা, ভোক্তা, বন্দীদের আত্বীয়-স্বজন,দর্শনার্থী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্রয় করে থাকে। বন্দির উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ বন্দিদের প্রদান করা হয়। ফলে তারা কারাগার থেকে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করতে পারছে। বন্দিরা সংশোধন ও সুনাগরিক হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সমাজে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে বলেও মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। 

কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জামাল উদ্দিন নামের বন্দি ভোরের পাতাকে বলেন, আগে কারাগারে যেতেই ভয় লাগতো। সে ভয় কেটে গেছে। এখন ঢাকা কারাগারে দালালদের আর দৈরাত্ন্য নেই। মাদক ব্যবসাও পুরোপুরি বন্ধ। এখন নিয়মিত পরিবারের লোকজন আসলে সিরিয়াল মেনে দেখা করাও সম্ভব হচ্ছে। ৪ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা আবুল হোসেন নামে এক বন্দি বলেন, গত দুই বছরে ঢাকা কারাগারের চেহারাই বদলে গেছে। এখন জেল কোড অনুযায়ী সব সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছি আমরা। মোটিভেশনের নামে আমাদের আত্নশুদ্ধির পথ সুগম হচ্ছে। 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত বন্দির হাতকে কর্মীর হাতে রুপান্তরের লক্ষ্যে অত্র কারাগার বন্দিদের গার্মেন্টস প্রশিক্ষণে নিয়োজিত করছেন। কারাগারে প্রায় ১২০ জন বন্দি গার্মেন্টস প্রশিক্ষণে কাজ করছে। বাইরের বিভিন্ন সাব-কন্টাকদারদের কাজ করা হচ্ছে। এখানে টি শার্ট, টাউজার ইত্যাদি কাজ করা হয়। প্রশিক্ষণ লাভ করে বন্দিরা প্রশিক্ষিত হয়ে বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত হতে পারছেন অনেকে। 

বাংলার ঐতিহ্যবাহী জামদানী ও কাতান শাড়ী তৈরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেরানীগঞ্জে। কারাগারে প্রায় ৩৫ জন বন্দি জামদানী শাড়ী তৈরী প্রশিক্ষণে কাজ করছে। জামদানী শাড়ীর চাহিদা রয়েছ। বন্দি, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের মাঝে ও জামদানী ও বেনারশী শাড়ীর চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও কারা শো-রুম ও আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়। বন্দিরা কারাগার থেকে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও করতে পারছে।  এমনকি অত্র কারাগারে  ১০ জন বন্দি বেনারশী শাড়ী তৈরী করছেন। বেনারশী শাড়ী  শো-রুম ও আন্তজার্তিক  বানিজ্য মেলায় ও চাহিদা রয়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারাভ্যন্তরে ৭০ জন বন্দিকে সুচি শিল্পের কাজের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সুচি শিল্পেরও চাহিদা রয়েছে। যার মাধ্যমে বন্দিরা কারা মুক্তির পর সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

কারাগারটিতে ৩০ জন বন্দিদের তাঁত শিল্পের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। তাঁত শিল্পে কারাগারের চাহিদা মোটানো হয়। ফলে কারাগারে যেমন আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে, তেমনি বন্দিরা প্রশিক্ষণ লাভ করে সংশোধন ও সমাজে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে কারাগারে ২০ জন বন্দিকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এখানে টেলিভিশন, ফ্রিজ, রেডিও, ফ্যান, চার্জার লাইট মেরামত ও প্রশিক্ষণ চালু আছে।  প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সমাজ সেবা ও যুব উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থা হতে বিনা সুদে ঋণ নিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা পূর্ব থেকে দক্ষ তাদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাদুকা শিল্পের উপর ১৫ জন বন্দিবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা তৈরী করা হয়। এতে বন্দীরা ও অর্ডার দিয়ে থাকে। বাহিরে শো-রুম বিক্রয় করা হয়। এছাড়া আন্তজার্তিক  বানিজ্য মেলায় ও চাহিদা রয়েছে। বন্দিরা পাদুকা তৈরীর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা বাহিরে কাজে সম্পৃক্ততা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।  বন্দিদের সংশোধন করে দায়িত্ববান ও সুনাগরিক হিসেবে সমাজের মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য কারাগারে ০৭ জন বন্দিদেরকে ফার্নিচার এর উপরে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এখানে  কাঠের আসবাবপত্র তৈরী ও মেরামত কাজের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এতে বন্দিরা প্রশিক্ষিত হয়ে পরিবার ও সমাজে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। মৃৎ শিল্প,কুটির ও হস্ত শিল্প, কৃষি প্রশিক্ষণ, মননচর্চা, জিমনেসিয়াম প্রশিক্ষণঃ কারাভ্যন্তরে বন্দিদেরকে বিভিন্ন ইভেন্টে উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ইচ্ছুক বন্দিদের জন্য মৃৎ শিল্প, কুটির ও হস্ত শিল্প ও কৃষি কাজের উপর ২০০ জন বন্দিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের জন্য কারাগারে মননচর্চা সেন্টার রয়েছে। যেখানে মননচর্চা আগ্রহীদের সংগীত পরিবেশ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কারাগারে একটি জিমনেসিয়াম সেন্টার রয়েছে। যেখানে শারীরিক স্বাস্থ্য সচেতনতার উদ্দেশ্যে বন্দিগণ প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করে থাকেন। জিমনেসিয়ামে অবসর সময়ে বন্দিরা বডি ফিটনেস এর জন্য প্র্যাকটিসের সুযোগ রয়েছে। যাহার মাধ্যমে বন্দিরা কারা মুক্তির পর সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

কারাগারে আটক নিরক্ষর বন্দিদেরকে অক্ষরজ্ঞানদানের জন্য কারাভ্যন্তরের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ জন বন্দিকে গণশিক্ষা ও স্বাক্ষর জ্ঞান প্রদানের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বন্দিদেরকে গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে অক্ষর জ্ঞান প্রদান করতঃ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যন্ত জ্ঞান লাভ করানো হয় এবং পরীক্ষার মাধ্যমে ভালো ফলাফলকারীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া, কারাভ্যন্তরে  ‘শেখ রাসেল কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ রয়েছে। যেখানে বন্দিদের সাপ্তাহিকভাবে (শুক্রবার বাদে) ৫০ জন বন্দিকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষনার্থীকে ০৩ মাসের কোর্স শেষে সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে।

এমনকি, কারাভ্যন্তরে বন্দিদের জন্য বিদেশী ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। (ইংলিশ কনভারসেশন) ইচ্ছুক বন্দিরা পরীক্ষার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং কোর্স শেষে সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৩০জন বন্দিকে ইংরেজি ভাষার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন এর মাধ্যমে মানসিক শান্তি লাভের জন্য ৩০ জন বন্দিকে মেডিটেশনালের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, সাপ্তাহিকভাবে কারা বন্দিদের নিয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতা ও বিভিন্ন সামাজিক, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মটিভেশনাল সেশন চালু আছে। বর্তমানে মটিভেশনাল সেশন (সেমিনার) উপর ৬০ জন বন্দিকে প্রশিক্ষণ প্রদান কারা হয়েছে।

কারাভ্যন্তরে বন্দিদের জন্য বার্ষিক ও ষান্মমাসিক ও বৈকালিক ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা, লুডু, ক্যারাম বোর্ডসহ বিভিন্ন খেলাধূলার ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে কারা বন্দিরা শারীরিক মানসিক ও বিভিন্ন ধরনের বিনোদন উপভোগ করে থাকেন। এছাড়া,  কারাভ্যন্তরে বন্দিদেরকে বিভিন্ন ইভেন্টে কৃষি কাজের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং ইচ্ছুক বন্দিদের জন্য হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল পালনের পদ্ধতি ও সবজি চাষ সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।



কারাগারে আটক বন্দিরা যাতে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে সে উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত  সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। কারাগারে পবিত্র কোরআন শিক্ষার জন্য মক্তব চালু রয়েছে। অন্যান্য ধর্ম পালনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। উক্ত মক্তবে প্রায় ২৫০ জন বন্দি কোরআন ও নৈতিক জ্ঞান লাভ করছে। ফলে অপরাধ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাভ্যন্তরে বন্দিদেরকে এন্ট্রি ড্রাগ কাউন্সেলিং এর উপর ৩০০ জন বন্দিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ফলে তারা মাদক সেবনের কুফল সর্ম্পকে জানতে পেরে  মাদক সেবন থেকে দূরে থেকে সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরে আসতে পারবে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে মাদকমুক্ত করতে ব্যাপক নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ফলে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে বন্দি ও কয়েদীরা বেঁচে যাচ্ছেন। 

কারাগারটিতে বহু বিবাহ বিরোধী কার্যক্রমে উপর ৭০জন বন্দিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এতে বন্দি বাহিরে গিয়ে বহু বিবাহ প্রথা থেকে নিজে বিরত রাখতে পারে। সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া  কারাগারে বাল্য বিবাহ বিরোধী কার্যক্রমে উপর ৬৫ জন বন্দিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এতে বন্দি বাহিরে গিয়ে বাল্য বিবাহ প্রথা থেকে সমাজকে বিরত রাখতে পারে। 
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে ৭ শতাধিক কম্বল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি বানিয়েছিলেন বন্দিরা। এটা দেশে বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এছাড়া সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রেখে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠানের রিয়েলিটি শোতেও অংশ নিয়েছিলেন বন্দিরা। 

এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেঃ জেনাঃ এ এস এম আনিসুল হক বলেন, আমি সততা এবং নিষ্ঠার সাথে বাংলাদেশ জেলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রায় দুই বছর ধরে দেশের সব কারাগারগুলোতে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। দেশের সকল কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কারাগারগুলোতে গুণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সত্যিকার অর্থেই মডেল কারাগারে পরিণত হয়েছে। কারাবন্দিরা যেন আত্নশুদ্ধির পথে আসতে পারে এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে বন্দিদশায়ও আয় করতে পারে, সে বিষয়ে কারা অধিদপ্তর ও জেল কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন কাজের জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন। সারাদেশে ৬৮ টি কারাগারকেও ঢাকা কারাগারের মতোই দেখতে চান সেনাবাহিনীর চৌকষ এ কর্মকর্তা। 

কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করতে ও কারিগরী প্রশিক্ষণ পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ ভোরের পাতাকে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে এবং কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শ ব্রিগেঃ জেনাঃ এ এস এম আনিসুল হকের ডাইনামিক নেতৃত্বে এগুচ্ছে কারগারটি। এখানে ঐতিহ্যবাহী জামদানি, বেনারশি শাড়ি থেকে শুরু করে নানা পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বন্দিরা নিজেদের আত্ননির্ভরশীল করে তুলতে পারছেন। এছাড়া জেল কোড মেনে বন্দি ও কয়েদিদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে আমরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের গর্বিত মনে করি। ভবিষ্যতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিবাচক কাজগুলো অন্যান্য কারাগারগুলোতেও চালু হবে বলেই আশা প্রকাশ করেন সুভাষ কুমার ঘোষ। তিনি আরো বলেন, কারাগারগুলোতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়লে দ্রুতই সংশোধনাগারে পরিণত হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
http://dailyvorerpata.com/ad/apon.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]