প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩, ৯:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ক্লান্তি নেই বিজয় রথের সারথীর। রথের চাকা থেমে গেলে যে বিজয়ও থেমে যাবে। হবে না বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সেই শোষনহীন, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা। তাই অবিরাম ছুটে চলা। পূর্ব থেকে পশ্চিম-উত্তর থেকে দক্ষিন। এইতো সেদিনও ছিলেন বরিশালে। ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। ছুটেছেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। বটতলা থেকে তালতলা (তালতলী)। সদর রোড, জিয়া সড়ক, চৌমাথা, সাগরদী, নথুল্লাবাদ বিএম কলেজ হয়ে শহীদ মিনার ছুঁয়ে বরিশাল বদ্ধভুমি। ত্রিশ লাখ শহীদদের রক্ত ছুঁয়ে শপথ।তারপর সেই বিস্ময়।
দক্ষিনের ভাটি্র দেশের মানুষকে বিজয়ের লাল টুকটুকে স্বপ্নে ভাসালেন। আলো ঝলমলে বরিশাল, প্রশস্ত সড়ক, সহনীয় কর, শিল্পায়ন, তারুন্যের মধ্যে বিল গেটসকে খুঁজে নেয়া সবশেষে ক্ষুধার্তের মুখে দু’মুঠো অন্নের সংস্থান। আহা! আরও কত কি যে! বিজয় এলো কিন্ত সারথীরতো বসে থাকার উপায় নেই। স্বপ্ন দেখাতে হবে সিলেটবাসীকে। তাই ছুটে গেলেন সুরমা নদীর তীরে। ৩৬০ আউলিয়ার দেশ। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেটে।আবার নিরন্তর ছুটে চলা। নগরের বাগবাড়ি, পুলিশ লাইনস, রিকাবিবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, ধোপাদিঘিরপাড়, ছড়ারপাড়, চালিবন্দর ও মাছিমপুর।চায়ের বাগান থেকে কমলার বাগানে।মাজার থেকে মাজারে। ঘুম ভাঙ্গাতে হবে সিলেটবাসীর। আকাশে যেটুকু কালো মেঘ আছে। সেটুকু শ্রাবন ধারা হয়ে ঝরে পড়ুক সিলেট শহরে। প্রাণ ফিরে পাক তামাবিল, ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, রাতারগুলের স্রোতধারা। আরও সবুজ হোক চায়ের পাতার কুঁড়িগুলো।হাসি ফুটুক চা কন্যাদের মুখে। তোমাকে তো চেনা সেই কিশোর বয়স থেকেই। কত শত বক্তৃতা শুনেছি।
স্বাধীনতার পরে বরিশালে বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন করতে নিজ দলের মন্ত্রীর মঞ্চ ভাঙ্গার কথা তো তোমার বক্তৃতায় শোনা।আজও কানে ভাসে। দেশে যখন ১৫ আগষ্ট শোক দিবস পালন নিষিদ্ধ তখন বগুড়া রোডের চৈতন্য স্কুলের একটি কক্ষ বসে পোষ্টার দিয়েছ চুপিসারে।মাত্র ৮/১০ খানা পোষ্টার পেতাম মনে আছে। সে সময় অকাল প্রয়াতঃ শহীদ ভাই তোমার পাশে থাকত। অশ্বিনী কুমার হলের সেই মিটিংএ তোমার উপর হামলা, ৩/৪ টি বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তোমার বিরামহীন ছুটে চলা, বরিশাল কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তোমার সাংগঠনিক দক্ষতার স্মৃতি আজও মনে পরে।তারপর জাতীয় রাজনীতি। যৌবনে আর পেলাম না তোমাকে। আজ তুমি শুধু বরিশালের নও সারা দেশের। গর্বও হায়। কিন্তু স্মৃতির জানালায় তুমি আজও নানক-শহীদ পরিষদ সবার সেরা পরিষদ। এগিয়ে চল হে বিজয় রথের সারথী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আমাদের নানক ভাই।‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ, তব ভুবনে তব ভবনে মোরে আরো আরো আরো দাও স্থান’।