প্রকাশ: শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ৮:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মেহেন্দিগঞ্জে শতভাগ বিদ্যুতায়িতের সাইনবোর্ড ঝুললেও বস্তবচিত্র ভিন্ন। আলোর নিচে যেমন অন্ধকার, ঠিক তেমনি মেহেন্দিগঞ্জ বিদ্যুত অফিস থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের চালু করা একটি গুচ্ছ গ্রামে বিগত ২ বছর যাবত বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছেনা। অথচ বিদ্যুতের পোল দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। এযেনো এক শুভংকরের ফাকিঁ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিৎ খা এলাকার গুচ্ছ গ্রামটি চালুর পর থেকে অদ্য পর্যন্ত বিদ্যুত সংযোগবিহিন থাকায মানবেতর জীবন যাপন করছে গুচ্ছ গ্রামবাসী। নেই কোনো যাতায়াতের সংযোগ রাস্তা, সুপিয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
ঐ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যন নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ ২০২১ সালের জুনে নির্বাচিত হয়ে শপখ নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহাদত হোসেনের মাধ্যমে বাজিৎখাঁ গুচ্ছ গ্রামে ৩০ টি পরিবারকে ৩০টি ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়। সেখানেও আছে নয়ছয়। ঐ গুচ্ছ গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধা মোসলেম হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ঘর পেতে চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে পরিচিত জনৈক হারুন কাজীকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
অপরদিকে চেয়ারম্যানের লোক জিহাদকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ঘরের দখল নেয়া মকবুল সিকদার জানান, টাকা দিয়ে ঘর পেলেও কোনো প্রকার নাগরিক সুবিধা তারা ভোগ করতে পারছেনা। এদিকে ভ্যান চালক শাহিন জানান, তিনিও ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘরের বরাদ্ধ পেয়েছেন কিন্তু বিদ্যুৎ, যাতায়াতের রাস্তাসহ ৩০ টি পরিবারের জন্য ১টি মাত্র ডিপটিউবয়েল থাকায় নানা কস্টে দিন পাড় করতেছে তারা। তারা আরো জানান, ২বছর আগে ঘর পেলেও এখন পর্যন্ত ঘরের কোনো কাগজপত্র তারা হাতে পায়নি।তবে তারা শুনতে পেয়েছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদ সিকদারের কাছে নাকি তাদের ঘরের কাগজপত্র জমা আছে। চাইলেই দেই দিছি বলে সময়ক্ষেপন করতেছে তিনি।
এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জনপ্রশাসন গুচ্ছ গ্রামটি করে দিয়েছে,এখানে কিছু ত্রুটি থাকলে দায় দায়িত্ব তাদের। তবে তার লোক পরিচয়ে টাকা নেবার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
অপরদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুননবীর নিকট বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঐ গুচ্ছ গ্রামে বিদ্যুত ও সড়ক নেই এটি তার জানা ছিলোনা। যেহেতু সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন, তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।