স্টিভেনসনের মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জানিয়েছেন তরা সহ অভিনেতারা।
তাকে একজন ‘সাহসী’ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে ‘রোম’ সিরিজে কাজ করা ব্রিটিশ অভিনেতা জেমস পিউরফয় ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “বড় মাপের এই মানুষটি তার জীবন ও অভিনয় অধ্যায়ের প্রতিটি অংশকে কানায় কানায় পূর্ণ করেছেন।”
অভিনেতা স্কট অ্যাডকিন্স বলেন, "একজন ভালো বন্ধু এবং মহান অভিনেতার মৃত্যুতে আমি হতবাক এবং দুঃখিত। আমি তোমাকে সত্যিই মিস করব।“
অভিনেতার মৃত্যু শোকাহত ‘আরআরআর’ সিনেমার পরিচালক এসএস রাজামৌলি। শুটিংয়ের সময়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজামৌলি লিখেছেন, “খুবই মর্মান্তিক, বিশ্বাসই করতে পারছি না এই খবরটা। তিনি সব সময় নিজের উচ্ছ্বল ও প্রাণবন্ত স্বভাব নিয়ে সেটে আসতেন। বাকি সবাই তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হতেন।“
স্টিভেনসনের জন্ম ১৯৬৪ সালের ২৫ মে উত্তর আয়ারল্যান্ডে। তার বাবা ছিলেন রয়্যাল এয়ারফোর্সের পাইলট। আট বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে চলে যান তিনি। শৈশব কাটে সেখানেই।
লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ড থিয়েটারে আমেরিকান অভিনেতা জন মালকোভিচের একটি নাটক স্টিভেনসনকে অভিনয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। ২৯ বছর বয়সে ‘ব্রিস্টল ওল্ড ভিক থিয়েটার স্কুল’ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি।
নব্বইয়ের দশকে টিভি শোর মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু স্টিভেনসনের। ১৯৯৩ সালে তিনি কাজ করেন ‘আ উইম্যানস গাইড টু অ্যাডাল্টরি’ ধারাবাহিকে। এরপর ‘দ্য ডুয়েলিং প্লেস’, ‘দ্য রিটার্ন অব দ্য নেটিভ’, ‘ব্যান্ড অব গোল্ড’, ‘সাম কাইন্ড অব লাইফ’, ‘দ্য টাইড অব লাইফ’, ‘পিক প্র্যাকটিস’, ‘লাভ ইন দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’, ‘ড্রোভার্স গোল্ড’, ‘সিটি সেন্ট্রাল’সহ টেলিভিশনের বহু সিরিয়ালে স্টিভেনসন ছিলেন একজন পরিচিত মুখ।
২০১১ সালে মার্ভেল সিরিজের ‘থর’ সিনেমায় একটি চরিত্রে স্টিভেনসন কাজ করেন। সম্প্রতি স্টিভেনসন থর ট্রিলজিতে ভলস্ট্যাগ এবং এইচবিও-তে প্রচারিত ঐতিহাসিক ড্রামা সিরিজ ‘রোমে’ টাইটাস পুলোর চরিত্রটি করে জনপ্রিয়তা পান।