বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে দুবাইয়ে সোনার শো-রুমের মালিক হওয়া আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়ের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, আরাভের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে।
এদিকে ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ সংস্থাটির কাছে চেয়েছে এমন ৪৭ জন এবং বাংলাদেশে জন্ম এমন ৬২ ব্যক্তিসহ ১৯৫টি সদস্য দেশের ৭ হাজার ১৭ জনের নাম ঝুলছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বোর্ডে। তবে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিশে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবার নাম থাকলেও অনেকের ছবি নেই। কে কোন জেলার ঠিকানায় তার উল্লেখ নেই। এমনকি কারও কারও পুরো নামও নেই।
মূলত ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া এই সংস্থাটির প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে থাকে ইন্টারপোল।
জাতিসংঘে পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক এই সংস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যা, মাদক ও মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত, টাকা ও স্ট্যাম্প জাল করা, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা, আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা, যুদ্ধাপরাধ, ধর্ষণ, লুটপাট ও গণহত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িত ব্যক্তির নাম রয়েছে।
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ফরিদপুরের রাজাকার আবুল কালাম আজাদ, রাজাকার জাহিদ হোসেন খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার মো. হোসেন, আওয়ামী লীগের সভায় গ্রেনেড হামলাকারী সিলেটের আবুল হারিছ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের রাতুল আহমেদ বাবু, বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নূর চৌধুরী, শরীফুল হক ডালিম, এমএ রাশেদ চৌধুরী, খান মোসলে উদ্দিন ওরফে খান মোসলেম উদ্দিন, খুনি জিসান আহমেদ, নবি হোসেন, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, তানভির ইসলাম জয়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, মানব পাচারকারী জাফর ইকবাল, তানজিরুলসহ ৪৭ জন।