#সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে: উৎপল দাস।
প্রকাশ: বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:১৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পাঠ্যপুস্তক নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি মনে করি আমাদের অনুভূতিকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে একটি গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে খর্ব করতে চায়। শিক্ষা পাঠ্যক্রমে কিছু ভুল হতেই পারে এবং এইগুলো সংশোধনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এই ভুলকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে তারা আসলেই বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাবহার করে এডিট করা কন্টেন্টের মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত্র করছে। এইযে অপচেষ্টা তারা চালাচ্ছে, সেগুলোকে রুখে দিতে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৯৫৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি মনে করি আমাদের অনুভূতিকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে একটি গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে খর্ব করতে চায়। তারা সব সময়ের মতো এবারো পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত্র করার জন্য তারা সবচে বেশী তৎপর আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট এডিটিংয়ের মাধ্যমে তারা সোশ্যাল প্লাটফর্মে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শুধুমাত্র পরীক্ষামূলক বইয়ে কিছু ভুল পাওয়ায় তারা আলোচনা সমালোচনা শুরু করেছে। এটাকে পুজি করে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। এই বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করেছে এবং শিক্ষামন্ত্রী আজকে খুব সুন্দরভাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আমি মনে করি যারা এই বিষয়কে কেন্দ্র করে গুজব ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ভুল হওয়াটায় স্বাভাবিক কিন্তু কোন ভুলই কাম্য নয়। এইজন্য আমি মনে করি এই বিষয়টিকে সামনের দিনে আরও সচেতনভাবে পর্যালোচনা করতে হবে যেন কোন রকমের ভুল না হয়। ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা যেভাবে উঠে পরে লেগেছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। তাদের ধিক্কার জানায় আমি। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায় তারাই মূলত এই ধরণের অপকর্ম করে যাচ্ছে।
উৎপল দাস বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা ও বিজ্ঞানের সঙ্গে বিরোধ দেখিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে গুজব ছড়াতে তৎপর একাধিক মহল। সাধারণ মানুষকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। সবচেয়ে বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট, এডিট করা ছবি ও লেখনীর মাধ্যমে চলছে অপপ্রচার। এই বিষয়ে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী দুজনই কিন্তু আজকে এই বিষয়টা সংবাদ সম্মেলন ঢেকে এই বিষয়টা ক্লিয়ার করেছে। কিছু ইসলামী লেবাসধারী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এখন শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেঁছে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শিক্ষা পাঠ্যক্রমে কিছু ভুল হতেই পারে এবং এইগুলো সংশোধনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কিন্তু এই গুলোকে কেন্দ্র করে যারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় তারা গুজব ছড়াচ্ছে। এই ভুলকে পুজি করে যারা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে তারা আসলেই বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যাবহার করে এডিট করা কন্টেন্টের মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত্র করছে। এইযে অপচেষ্টা তারা চালাচ্ছে, সেগুলোকে রুখে দিতে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। আমার পত্রিকার সম্পাদক ইতিমধ্যে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এই গুজবকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের ভোরের পাতা সংলাপে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য যাতে আমরা এই গুজবে কান দিয়ে আরও বেশী সোচ্চার হতে পারি।