প্রকাশ: বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৩২ এএম আপডেট: ২৩.১১.২০২২ ১১:৩২ এএম | অনলাইন সংস্করণ

শিরোপা প্রত্যাশিদের হারিয়ে প্রথম অঘটনের জন্মদিল আরবের বাজপাখিরা। ২-১ গোলের ব্যবধানে তারা আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী দলকে পরাস্ত করে জয় ছিনিয়ে নেয়।
সৌদি আরবের ফুটবলারদের পাশাপাশি এর কৃতিত্ব দিতে হয় দলটির কোচ হার্ভে রেনার্ডরকে। মূলত তার সঠিক পরিকল্পনা ও টেকটিকসের কাছেই আটকে যায় মেসিরা।
আর দলের জয়ে মূল কাজের কাজটি যিনি করেছেন তিনি হলেন দলটির অতন্দ্র প্রহরী গোলকিপার মোহাম্মদ আল ওয়াইজ। তার ক্ষিপ্রতা আর দক্ষতাই মূলত মাঠের খেলায় বার বার পরাস্ত হন মেসি মার্টিনেজরা।
এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে আসার আগে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছিল তাদের। আসরে তুলনামূলক কঠিন গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সহজতম প্রতিপক্ষ পেয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। অথচ এই ম্যাচই কি না হেরে গেছে লিওনেল মেসির দল!
সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য আশানুরূপ ছিল আর্জেন্টিনার। দশম মিনিটে লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। এরপর প্রথমার্ধে আরো তিনবার বল জালে জড়িয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু প্রতিবারই অফ সাইডের ফাঁদে পড়ে গোলগুলো বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে আসে সৌদি আরবের মাহেন্দ্রক্ষণ। এবার ৪৮ ও ৫৩ মিনিটে দুটি গোল করে তারা। লিড নেয়ার পর সেটি ধরে রাখতে দলের খেলোয়াড়দের আত্মনিবেদন ছিল দেখার মতো। শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রেখে অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এশিয়ার বাজপাখিরা।
এর আগে পরাজয়ের শঙ্কায় যখন তারা আক্রমণে উঠেছিল, তখন গোলপোস্টের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সৌদি গোলকিপার মোহাম্মদ আল ওয়াইজ। ম্যাচ শেষে তাই প্রশংসায় ভাসছেন এই গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল খাওয়ার পর গতি আর ছন্দময় ফুটবল খেলতে দেখা যায় লিওনেল মেসিদের। ৭১তম মিনিটে মেসির পাস থেকে বল পেয়ে যান ডি মারিয়া। তার শট অসাধারণভাবে প্রতিহত করেন আলওয়াইজ। ৮৩তম মিনিটে মেসির হেড রুখে দেন তিনি। ৯০ মিনিটে বলবিপদমুক্ত করতে গিয়ে আলওয়াইজ সামনে চলে যান। এ সময় বল জালে চলে যাচ্ছিল, কিন্তু অসাধারণ হেডে তা আটকে দেন সৌদির এক ডিফেন্ডার।
ম্যাচের যোগ করা সময়েও বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার সামনে। কিন্তু সৌদি আরবের গোলকিপার আলওয়াইজ মেসিদের প্রতিটি আক্রমণই প্রতিহত করে দেন। কোনোভাবেই তাকে পরাস্ত করতে পারেনি আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ।
তার এমন দেয়াল হয়ে রুখে দাঁড়ানোতেই আর পেরে উঠেনি মেসিরা। হারদিয়ে মিশন শুরু করতে হয় তাদের। যার পুরো কৃতিত্ব দিতে হয় দলটির অতন্দ্র প্রহরী গোলকিপার মোহাম্মদ আল ওয়াইজকে। শেষের দিকে মেসি, ডি মারিয়াদের একের পর এক আক্রমন যেভাবে দক্ষ হাতে সামলেছেন তা স্বচোক্ষে বিশ্ববাসি দেখেছে।