মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: দেশে ৩৪ লাখ শিশুর জীবনযাপন রাস্তায়: গবেষণা    জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ আর নেই    কারওয়ান বাজার আড়তের দুটি ভবনই ঈদের পরে ভেঙে ফেলা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী    পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী    ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী    শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি    অবশেষে পদত্যাগ করলেন জাবির প্রক্টর    
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
‘হাওয়া’র ভাওতাবাজি
জালাল উদ্দিন সাগর
প্রকাশ: বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২, ৯:৫৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ

‘হাওয়া’ হালের ক্রেজি ছবি। তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কি- এ একটি গান ট্রল করে যে ছবি ব্যবসায়ীক শীর্ষে। বাংলা ছবি ফ্রেমে ফিরবে এটা সব সময় প্রত্যাশা করি। ফ্রেমে ফিরবে এতিহ্য নিয়ে, ভাওতাবাজি করে নয়।

যে প্রত্যাশা নিয়ে টিকেট প্রতি এক হাজার টাকা (তিন জন তিন হাজার) খরচ করে সিলভার স্ক্রিনে ঢুকে ছিলাম, সে প্রত্যাশার সিকিভাগও পূরন করতে পারে নি ‘হাওয়া’।

আমি সিনেমা বোদ্ধা নই, সে কারণে বিস্তারিত আলাপ করার ইচ্ছা রাখি না। সাধারণ একজন দর্শক হিসেবে আমার কাছে নামের স্বার্থকতা পুরোপুরিই ব্যার্থ মনে হয়েছে ‘হাওয়া’ ছবিতে। হাওয়ায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস-বৃষ্টি দেখানো হলেও হাওয়ার (বাতাস) দেখা মেলে নি পুরো ছবির কোথাও। ছবির নাম হাওয়া না হয়ে দইজ্জা হলে হয়তো কিছুটা মিল পাওয়া যেতো।

দুই ঘণ্টা ১৫ মিনিটের একটা ছবি। যে ছবিটা নির্মাণ করা হয়েছে গভীর সমূদ্রে (চিত্রনাট্য অনুযায়ী)। কিন্তু সে ছবিতে ঢেউয়ের দেখা মেলে নি কোথাও। শেষ দিকে এক বার কাটপিস ঢেউয়ের আয়োজন করতে চেয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু সেখানেও তিনি ব্যর্থ। কারণ, ছবির লোকেশন আর ঢেউ চিত্রের লোকেশন একই জায়গার নয়- খুব সহজেই ধরা যায়।

চিত্রনাট্য অনুযায়ী ‘হাওয়া’ গভীর কিংবা মধ্য সাগরে চিত্রায়নের কথা বলা হলেও ‘হাওয়া’র চিত্রায়ন তা বলে না। ‘হাওয়া’ ছবিটি সমূদ্র তীরবর্তী কোন ঘাটে নৌকা বেঁধে করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। কারণ, গভীর সমুদ্র কিংবা মধ্য সমুদ্রের মাছ ধরার নৌকাগুলো এত স্থির বা অচঞ্চল থাকতে পারে না। সম্ভবও না।



ছবির শুরুতে মানবীকে দরিয়া থেকে টেনে তোলার দৃশ্য আমাকে যেমন আহত করেছে, ঠিক তেমনি ছবির শেষে সাপ থেকে মানবী হওয়ার দৃশ্যটাও। আরো গুছিয়ে নাটকীয়ভাবে করা সম্ভব হত। যদি প্রযোজকের এতটা তাড়া না থাকত।

অভিনয় গুণে এক চঞ্চল চৌধুরী-ই হাওয়াকে তীরে টেনে এনেছে। না হয় মাঝ সমুদ্রেই ডুবে যেত ‘হাওয়া।’

সর্বোপরি, ট্রল করে ব্যবসায় করা যায়। কিন্তু ট্রল করে দর্শকের মনে আঁচড় কাটা যায় না। নায়িকা ও তার অভিনয় দেখে আমার বার বার মনে হয়েছে, নায়িকাকে কেউ জোর করে ক্যারেক্টারে ঢুকিয়ে দিয়েছে। অতিবাস্তব বা দেবী- দুই চরিত্রের কোনটারই সাবলিলতা কানাকড়ির ছিল না নায়িকার অভিনয়ে।

রিভিউয়ার: সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, চট্টগ্রাম। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]