বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: একনেকে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন    ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত    বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তৃতীয় ঢাকা    কাতারের আমির ঢাকায় আসছেন এপ্রিলে    রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪    যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত    ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে চায় অষ্ট্রেলিয়া   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ থাকবে
#বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ আওয়ামী লীগ: তানভীর শাকিল জয়। #আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস: নাসির উদ্দিন আহমেদ। #বাংলাদেশের সব অর্জনের প্রতীক আওয়ামী লীগ: ড. শাহিনূর রহমান।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২, ১০:৪৯ পিএম আপডেট: ২৩.০৬.২০২২ ১০:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বাঙালি জাতির জন্য ২৩শে জুন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্ব যতদিন থাকবে ততদিন এটি বাঙালি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগের এই ৭৩ বছরের ইতিহাস দীর্ঘদিনের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের এই ৭৩ বছরের ইতিহাস আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। বিগত ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজীবন নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন তিনি। আপনার হাত ধরেই অনেক কিছু পেয়েছি আমরা।  যতদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জন্য কাজ করে যাবো ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশকে কেউ কোনদিন পরাজিত করতে পারবে না।



দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭৪৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিরাজগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

তানভীর শাকিল জয় বলেন, বাঙালি জাতির জন্য ২৩শে জুন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্ব যতদিন থাকবে ততদিন এটি বাঙালি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। আজকে ভোরের পাতা সংলাপের প্রতিপাদ্য বিষয় বাংলাদেশের অস্তিত্বের অপর নাম আওয়ামী লীগ। এটি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত শব্দ। বাঙালি জাতির অস্তিত্ব গড়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। উপমহাদেশের যে কয়টি প্রাচীন রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অন্যতম। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এত দীর্ঘ সময় একটি রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা ধরে রাখা নিঃসন্দেহে অতি তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৪৯ সালে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাসটা বর্তমান সময়ের মতো এতটা মসৃণ ছিল না। আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন সময় নানা প্রতিকূলতা এবং অস্তিত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দলটি বেশ কয়েকবার মোটা দাগে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছিল। কিন্তু তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদৃঢ় নেতৃত্বেই পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তারই নীতি-আদর্শে নৌকার হাল এখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে।বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর এখন তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেটাও আওয়ামী লীগের হাত ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে। উন্নয়নের এই মহাসড়কে রয়েছে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী মাতারবাড়ি, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, কর্নফুলী টানেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্ব, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্রসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যা বদলে দিয়েছে দেশের অর্থনীতিকে। এগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার হার না মানা মানসিকতা এবং ম্যাজিক্যাল নেতৃত্বের কারণে। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে যখন বিশ্বব্যাংক সরে যায়, তখন নিজস্ব অর্থায়নে সেই সেতু করে তিনি প্রমাণ করেছেন বাঙালি জাতি অদম্য। আজ পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচলের অপেক্ষা মাত্র।  একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজ বাঙালি বড় স্বপ্ন দেখে, সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়। আমি মনে করি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যতদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জন্য কাজ করে যাবো ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশকে কেউ কোনদিন পরাজিত করতে পারবে না। 

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের ভোরের পাতা সংলাপের বিষয় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আজ ঐতিহাসিক ২৩শে জুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আজকে এই দলটি ৭৪তম বছরে পদার্পণ করলো। আওয়ামী লীগের এই ৭৩ বছরের ইতিহাস দীর্ঘদিনের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের এই ৭৩ বছরের ইতিহাস আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। এই দলটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেক যারা এই দলটির জন্য আত্ম উৎসর্গ করেছেন, যে সকল কর্মীগণ নিজের ভবিষ্যৎকে বিলিয়ে দিয়েছেন এই দলের ভবিষ্যতের জন্য, যারা কারাবরন করেছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন এবং যারা বেঁচে থেকে এই দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাদেরকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায়। মহান ভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলন সহ বাংলাদেশের সকল জাতীয় আন্দোলনে যে দলটি নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই দলটির নাম হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ঐতিহাসিক একটি সময়ে জন্ম আওয়ামী লীগের। ৭৩ বছর আগে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে পথচলা শুরু দলটির। আজও সেই পথেই হেঁটে যাচ্ছে। সেই পথ দীর্ঘ সংগ্রামের ও ত্যাগের। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নৌকা প্রতীকের এ দলটির প্রতি সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপক সমর্থন ছিল এবং আছে। সেই ধারাবাহিকতা আজও বহমান। সঠিক পথে থেকেছে বলেই ইতিহাসের নানা বাঁকে অসাধারণ সব সাফল্য এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। আমাদের পরম কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এসেছে আওয়ামী লীগ ও এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবের হাত ধরেই। আজ তার কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাট ধরে উন্নয়নের চরম শিখরে আহরণ করছে বাংলাদেশ যার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে পদ্মা সেতু যেটা আগামীকাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। বিগত ৪০ বছর ধরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজীবন নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন তিনি। আপনার হাত ধরেই অনেক কিছু পেয়েছি আমরা। আসুন আমরা বৃহতর ঐক্য গঠন করি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকলে একটি কথায় বলি, আপনি এগিয়ে যান; আমরা আছি আপনার পাশে। 

ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সেটা বাংলাদেশের ইতিহাস। সে ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই শেখ হাসিনার ইতিহাস। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেন থেকে ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার গঠন পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং আজ অবধি আওয়ামী লীগের পথচলা চলছে। অনেক রক্তাক্ত পথ ধাপে ধাপে পাড়ি দিয়ে আজ আওয়ামী লীগ পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলছে। ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতেই ছিল। ৬৬-এর ছয় দফার মোড়কে স্বাধীনতা নামক একদফাও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক অনন্য সাধারণ প্রজ্ঞার প্রতিফলন। ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তের আরও একটি নক্ষত্রসম ঘটনা। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় যেন পৃথিবীর বুকে নবরূপে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশের এক বিজয় কেতন। ১৯৭১ সালের দ্রুত বয়ে যাওয়া মার্চের ঘটনাপ্রবাহ ও তারপর ৭ মার্চে, বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর গর্জন সৃষ্টির ঘটনাপঞ্জি যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরই বীরত্বকাব্য। অবশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]