গম রপ্তানিতে ভারত যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটি প্রতিবেশী দেশগুলোর উপর প্রযোজ্য নয়। তাই বাংলাদেশে ভারতের গম রপ্তানি বন্ধ হচ্ছে না।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারতে গম রপ্তানির ওপর ‘নিষেধাজ্ঞা’র খবর প্রকাশিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, খাদ্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত মূল্যস্ফীতি কমানো এবং ভারতের প্রতিবেশী ও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা অন্য দেশগুলোর চাহিদা পূরণে সহায়তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভারতে গম রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ চালানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এই নির্দেশাবলী ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও গম রপ্তানি আটকাবে না।
পাশাপাশি, অন্য যেসব দেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারতীয় গম আমদানি করতে ইচ্ছুক, সেসব দেশের সরকারের অনুরোধ সাপেক্ষেও গম রপ্তানি চলবে।
এর আগে, দেশীয় বাজারে দাম কমানোর লক্ষ্যে গত শুক্রবার গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত সরকার দেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রতিবেশী ও অন্যান্য অরক্ষিত দেশগুলোর চাহিদাকে সমর্থনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব রপ্তানি চালানের ঋণপত্র (এলসি) বিজ্ঞপ্তির আগেই ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলো যেতে পারবে। এছাড়া সরকারি অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য দেশেও গম রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। শুক্রবার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয় এ নিষেধাজ্ঞা।
পরিমাণ ও মূল্য উভয় দিক থেকে ভারতীয় গমের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের মোট গম রপ্তানির ৫৪ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশে। ওই বছর ভারতীয় গমের শীর্ষ ১০ ক্রেতা ছিল বাংলাদেশ, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, কাতার, ইন্দোনেশিয়া, ওমান ও মালয়েশিয়া।
বিশ্বের মোট গম রপ্তানির ২৯ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক ভোগ্যপণ্যের বাজারে রীতিমতো আগুন লেগেছে। হু হু করে দাম বেড়েছে গমেরও।