প্রকাশ: রোববার, ১৫ মে, ২০২২, ১০:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের দিকে ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা পর্যন্ত সবাই তাকিয়ে থাকে। আজকের সংলাপের আলোচ্য বিষয়ের সাথে আমি কণ্ঠ মিলাতে চাই যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন নিয়ে আর কোন ধোঁয়াশা চাই না। যে ধৃষ্টতা দেখিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথাকে তারা অস্বীকার করলেন। এটাকে আমি সবচেয়ে বড় ধৃষ্টতা বলছি এই জন্য যে, ক্ষমতার চেয়ারকে আঁকড়ে ধরার জন্য এই ধরনের পন্থা অবলম্বন করা মোটেও কাম্য নয়।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭০৫তম পর্বে রোববার এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি সোহান খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
সোহান খান বলেন, আজকে ভোরের পাতা সংলাপের আলোচ্য বিষয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন, ধোঁয়াশা নেই। আসলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা পর্যন্ত সবাই তাকিয়ে থাকে। আজকের সংলাপের আলোচ্য বিষয়ের সাথে আমি কণ্ঠ মিলাতে চাই যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন নিয়ে আর কোন ধোঁয়াশা চাই না। এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, গতকাল আমরা মধুর ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। প্রতিদিনকার মতো গতকালকেও আমরা সেখানে একত্রিত হয়েছিলাম। তখন আমরা সেখানে বসে আলোচনা করছিলাম এই বিষয়ে যে গত কয়েকদিন ধরে একটা প্রোপাগান্ডা আমরা শুনছিলাম যে, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ দিবেন এবং তারপরই সম্মেলন হবে; এই রকম একটা প্রোপাগান্ডা চলছে। প্রোপাগান্ডা এইজন্য বললাম কারণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছিলেন এখন শুধু নেত্রী তার শিডিউল অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠনের জন্য যে সময়টা দিবেন সেদিনই সম্মেলন হবে। কিন্তু মানসিকভাবে এবং সম্মেলন করার জন্য আমরা যেন আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রস্তুত থাকি সেই নির্দেশনা কিন্তু ওবায়দুল কাদের আমাদেরকে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের মাধ্যমে গত ১০ তারিখ এই বিষয়টা ক্লিয়ার করেছেন। এখন কথা হচ্ছে আজ ৫দিন অতিক্রম হতে যাচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মধুর ক্যান্টিনে আসেন না, আমাদের সাথে বসেনও না। এখন আমার কথা হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আমরা কোন ধোঁয়াশাই থাকতে চাই না কারণ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, একজন কর্মী; এটা নিয়েই গর্ববোধ করি। এই প্রেক্ষিতে গতকাল যখন আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মধুর ক্যান্টিনে আসতে বলি কথা বলার জন্য তখন তারা আসেন সেখানে এবং তাদের কাছে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে জানতে চাই। তখন তারা আমাদেরকে এটা নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর মিটিংয়ে ওবায়দুল কাদের যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন তার কোন ভিত্তি পাননি তারা। তারা এটাও বলেছে যে, এটা হতে পারে তার মনগড়া বা উনি হয়তো চেয়েছেন যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়া দরকার সেজন্য হয়তো তিনি বলেছেন। তারা এখনও নেত্রীর সঠিক নির্দেশনা পাইনি এবং তারা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সেলে যোগাযোগ করেছেন এবং সেখানেও তারা কোন সঠিক নির্দেশনা পায়নি। এখন এখানে ব্যাপারটা আসলে কি দাঁড়ালো? বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে স্টেটমেন্টটা দিয়েছেন সেটাকে কাঠগড়ায় দাড় করানো হলো!