নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক গত বছর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরপর এই সড়ক দিয়ে রিকশা-ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। ‘অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাতে হকার বসা নিষেধ’ লিখে বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ডও লাগানো হয়েছে। তবে এরপরও সড়কের ফুটপাত দখল করে আছেন হকারেরা। সড়কের পাশে পার্ক করে রাখা হয় গাড়িও। ফলে সড়কজুড়ে যানজট লেগেই থাকে।
আজ বেলা ২টার দিকে চৌহাট্টার দিকে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন মেয়র আরিফ। এ সময় সড়কের পাশে একটি ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা দেখতে পান তিনি। তখন মেয়র গাড়ি থামিয়ে ওই ভ্যানচালককে ডেকে এনে হাতে বেত্রাঘাত করেন।
জানা যায়, একজন নিপীড়ক মেয়র এবং আমাদের বিবেক’ শিরোনামের ফেসবুক পোস্টটিতে লেখা হয়-
‘একজন সিগারেট কোম্পানির কর্মচারী ভ্যান রেখে ডেলিভারি দিতে গেছে পাশের দোকানে। সেই সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল মেয়রের গাড়ি। তাকে দেখে এই ভ্যানচালক ভ্যান সরিয়ে নিতে গেলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাকে হাত পাততে বলেন এবং উনার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে দুটো বাড়ি দেন। একটু সামনেই রাস্তার পাশে একটি প্রাইভেট কার পার্ক করা ছিল, কিন্তু কবি সেখানে নীরব। কী বলব? এই শহরের অনেক রিকশাচালক ও খেটেখাওয়া মানুষের পিঠ খুঁজলে মেয়র আরিফের লাঠির আঘাতের অনেক দাগ খুঁজে পাওয়া যাবে।’
এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেন স্পাইস টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান গোলজার আহমদ। তিনি ভাইরাল হওয়া সেই ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এটা অনুচিত..... সমানুপাতিক হারে আইন প্রয়োগে ব্যর্থ আপনি। প্রতীকী হলেও মানতে নারাজ আমি।’
আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, ‘কাজটি সঠিক নয়।’
এ নিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ফেসবুকে লেখেন, ‘লাঠিয়াল নয়, জনবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করুন। পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র নগরীর পবিত্র চেয়ারের সম্মান হানিকর সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’