প্রকাশ: বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১, ৭:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ঠাকুরগাঁও শহরের একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্র। বাইরে অপেক্ষারত রোগী-স্বজনদের ভিড় ঠেলে এগিয়ে গেলেন জ্বরে আক্রান্ত এক রোগী। কত দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন? চিকিৎসকের এ প্রশ্নে আমতা আমতা করে জানালেন তিনি পাঁচ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। কথা শুনে চিকিৎসক ঐব্যক্তিকে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু কিছুতেই তিনি করোনা পরীক্ষা করতে রাজি নন। ওই রোগী উল্টো বলেন, ‘এটা ইনফ্লুয়েঞ্জা। ওষুধ দেন। ওষুধ খেলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
চিকিৎসকেরা বলেন, জেলায় হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলেও কিছুতেই মানতে চান না যে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এভাবেই জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা করোনা পরীক্ষায় একেবারেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
চিকিৎসকেরা আরো জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে দিনে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম ও ভোররাতে কিছুটা ঠান্ডা পড়ছে। আবহাওয়ার কারণেও জ্বর বেড়ে যেতে পারে। তবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকেও কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাব, ঠাকুরগাঁওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা এবং সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাওয়া অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, সব মিলিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৫৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।