শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪ আশ্বিন ১৪৩০

শিরোনাম: নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, নিহত ৩    ভারত বিশ্বকাপে নাশকতার হুমকি    ৫০০ শয্যা পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি    খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন স্বরাষ্ট্র হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে    আ.লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী    মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণ করে মানবতার কল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির    মহানবী (সা.)’র আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই সফলতা ও শান্তি নিহিত: প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বিলুপ্তির পথে বাঁশ ও বেত শিল্প
ওসমানীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

সিলেটের ওসমানীনগরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর এখন আর নেই বললেই চলে। একসময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, অফিস-আদালতসহ সবখানেই বাঁশ ও বেত সামগ্রী ব্যবহার করতো। 



বাঁশ ও বেতের তৈরি ফলদানি, ঝুড়ি, বিউটি বক্স, কসমেটিক্স বক্স, চায়ের ট্রে, বিয়ের ঢালা, কুলা, কলমদানি, চেয়ার, বইয়ের শেলফসহ বিভিন্ন নান্দনিক ও টেকসই পণ্যের জায়গা দখল করে নিয়েছে স্বল্প দামের প্লাস্টিক ও লৌহ্যজাত সামগ্রী। বর্তমানে বাঁশ-বেত সামগ্রীর প্রসার কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত গুটি কয়েক কারিগররা। তবুও বাপ-দাদার এই পেশাকে এখনও ধরে রেখেছে কিছু সংখ্যক পরিবার। দিন দিন বিভিন্ন জিনিস-পত্রের মূল্য বাড়লেও তুলনা দিয়ে বাড়ছে না এই শিল্পের কদর বা মূল্য। যার কারণে কারিগররা জীবন সংসারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর দিন দিন বেড়ে যাওয়া বাঁশ-বেতের কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তা ছাড়াও এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত এখন আর সহজলভ্য নয় । বাজারগুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এ্যালুম্যানিয়াম। দেখা মিলে না আর বাঁশ ঝাড়। তা ছাড়া পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর। জীবিকার তাগিদে বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির জন্য বাজারে এসেছেন কারিগররা। তবে অনেকে আবার অভাবের তাড়নায় বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ছুটছে। তবে শত অভাব অনটনের মধ্যেও হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার আজও পৈতৃক এই পেশাটি ধরে রেখেছেন।

গোয়ালাবাজারের হাটে আসা কারিগর শুকুর আলী বলেন, আমরা নিজেরাই বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য হাটে গিয়ে বিক্রি করতে যেতাম। এটা আমাদের আদি পেশা। এখন আগের মতো লাভ নেই। তবুও আমরা বাপ দাদার পেশাকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করছি। বাঁশের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লাভ কম হলেও এ পেশায়ই বেঁচে থাকতে চাই।

উপজেলার ভেরুখলা গ্রামের কারিগর আব্দুল রশিদ বলেন, বর্তমানে স্বল্প দামে প্লাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা আর তেমন নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। এখন আর আগের মতো বাড়ির আশেপাশে বাঁশ ও বেত গাছ রাখছে না কেউ। সেগুলো কেটে বিভিন্ন চাষাবাদসহ ঘরবাড়ি তৈরি করছে মানুষ। তাই কাঁচামাল আর আগের মতো সহজে পাওয়া যায় না। তাইতো এ শিল্পের কোন ভবিষ্যত দেখছি না।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
http://dailyvorerpata.com/ad/apon.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]