প্রকাশ: সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩, ১০:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় বেড়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় ভিড় বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি। উপজেলার হাটগুলোতে ছোট-বড় সব ধরনের পশু থাকলেও দাম বাড়তি থাকায় পুরোপুরি জমে ওঠেনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ১২৫টি। কোরবানির জন্য খামার ও বাড়িতে মোটাতাজা করা হচ্ছে ১৯ হাজার ৫৫টি পশু। এর মধ্যে গরু ১১ হাজার ২৬০টি, ছাগল ৫ হাজার ৯৪০টি ও ভেড়া ১৮৫৫টি।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে উপজেলার মন্থানা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের গরু নিয়ে হাজির বিক্রেতারা। পাশাপাশি রয়েছে ভেড়া ও ছাগল। ক্রেতা-বিক্রেতা সকাল থেকে হাটে মুখর হয়ে উঠেছে।
সেই তুলনায় বিক্রি তুলনামূলক কম থাকলেও বিকেলে বাড়তে থাকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রতি ছোট গরুতে ২০-৩০ হাজার ও বড় গরুতে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা। এতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে বাজেট অনুযায়ী পশু কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপরদিকে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় লালন-পালন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পশুর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতা ও পাইকাররা বলছেন, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর বিক্রি কিছুটা কম। শেষ মুহূর্তে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।
রংপুর নগরী থেকে গরু কিনতে আসা বকুল মিয়া জানান, হাটে পছন্দসই গরুর অভাব নেই। তবে বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো দাম চাচ্ছে। ছোট-বড় সবগুলোর দাম সাধ্যের বাইরে। কেউ দামে ছাড় দিচ্ছে না। হাট ঘুরে ঘুরে দেখছি। ভাগ্যে যেটা থাকবে সেটাই কম-বেশি দিয়ে হলেও নিতে হবে।
গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। গরু বিক্রি করতে হোসেন আলী বলেন, কাস্টমার গরুর দাম কম কয়। যে গুড়া, ভূসির যা দাম। তাই গরুর দাম বেশি চাইচোল। তোমরায় কন লস করি কি গরু বেচামো।
মন্থানাহাটের পশুর হাটের ইজারদার আব্দুল মতিন অভি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে বাজার জমে উঠেছে। বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।