প্রকাশ: শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩, ৬:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বের ৩০ কোটি মানুষের কাছে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে এ বছর হজের খুতবা ২০টির বেশি ভাষায় অনুবাদ করবে সৌদি সরকার। মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে ইসলামের শান্তির বাণী পৌঁছে দিতে খুতবার অনুবাদ সরাসরি সমপ্রচার করা হবে। আগামী ২৭ জুন লাখ লাখ হাজি আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থান করবেন। সেদিন লাখ লাখ হাজির উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে এবার খুতবা দেবেন দেশটির সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ।
গত ২২ জুন এক বিবৃতিতে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেছেন, আরাফার খুতবা হজ মৌসুমের কর্মপরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাদশাহ সালমান প্রকল্পের আওতায় আরাফার খুতবা ও হারামাইনের খুতবা তাত্ক্ষণিক অনুুবাদ সমপ্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার বিশ্বের ৩০ কোটি মানুষের কাছে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থেকে মানারাতুল হারামাইন (https://manaratalharamain.gov.sa/) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সব ভাষার অনুবাদ শোনা যাবে।
তা ছাড়া ‘আল কোরআন’ চ্যানেল ও ‘আস সুন্নাহ’ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে তা শোনা যাবে। ওয়েবসাইটে বিগত বছরের খুতবা ও এর অনুবাদও পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪৩৯ হিজরি মোতাবেক ২০১৮ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি ভাষায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্প শুরু হয়। ২০২০ সালে বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ করা হয়।
পরের বছর ১৪টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। ১৪৪৪ হিজরি মোতাবেক ২০২৩ সালে ২০টি ভাষায় অনুবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মূলত সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে প্রতিবছর নতুন ভাষা অনুবাদ কার্যক্রম যুক্ত করা হচ্ছে। এতে ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি বিষয়ক সুদক্ষ অনুবাদকদের নির্বাচন করা হয়। গত বছর হজের খুতবা বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন মাওলানা শোয়াইব রশীদ মাক্কী।