প্রকাশ: সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম আপডেট: ২০.০৩.২০২৩ ১১:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

গত ১৬ মার্চ রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহার ও উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারণী গবেষণার কর্ণধার সাংবাদিক শওকত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। সেই নৈশভোজে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা কিন্তু প্রত্যেকেই সাবেক। এখন সাবেক বা আবেগের যে কোন দাম নেই এটা কিন্তু আমাদের কাছে বোধগম্য। এটা সত্যি কথা যে তারা সবাই 'ফলেন স্টার'।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১০১২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বলেন, সেদিন লেখক ও কবি ফরহাদ মজহার ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন নৈশভোজে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা মূলত সবাই 'ফলেন স্টার'। আমি আমার কথায় কাউকে আঘাত করতে চাচ্ছি না, কিন্তু এটা সত্যি কথা যে তারা সবাই 'ফলেন স্টার' এমনকি আমি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সাহেবকে এই কাতারে রাখছি। তাকে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়েছিলেন কিন্তু তিনি কোথাও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেননি। সেই নৈশভোজে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা কিন্তু প্রত্যেকেই সাবেক। এখন সাবেক বা আবেগের যে কোন দাম নেই এটা কিন্তু আমাদের কাছে বোধগম্য। এখন সাবেকদের কথা আবেগ দিয়ে শোনা যেতে পারে কিন্তু তাদের কোন কাজের সাথে না জড়ানোয় উত্তম। এখন এইসব সাবেকরা মাঝে মাঝে জানান দিতে চায় যে তারা আছে। এখন তারা এইগুলো করে কারণ আগামীতে যদি কোন কমিটি গঠন করা হয় বা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি গৃহীত হয় তখন সেখানে যদি তাদেরকে ডাকা হয় বা সেখানে রাখা হয় যাতে তাদের নাম মিডিয়ায় আসে এবং তারা প্রমাণ করতে চাই যে তারা এখনো আছে। তাই যদি না হয় তাহলে মাত্র আট মাস বাকী নির্বাচনের এবং এই সময়ে এসে তারা নতুন সংবিধান চান। এবং এর জন্য তারা গণঅভ্যুত্থান করতে চান। এখন এই দুটিই কিন্তু আকাশ-কুসুম কল্পনা।