বইমেলায় ড. এশরার লতিফের নক্ষত্র নূপুর ও কী অদ্ভুত
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এশরার লতিফের ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস ‘নক্ষত্র-নূপুর’ প্রথম খণ্ড। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং প্রথম রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে লেখা বিপ্লব, রক্তক্ষয় আর তীব্র প্রেমের রোমাঞ্চকর ঐতিহাসিক উপন্যাস নক্ষত্র-নূপুর। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই। বইটি প্রকাশ করেছে 'অন্যপ্রকাশ'।
গতকাল বুধবার (২২ফেব্রুয়ারি) মেলায় বই দুটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
'নক্ষত্র-নূপুর' বইটি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের সময় থেকে ভারতবর্ষে, বিশেষ করে বাংলায় ইংরেজবিরোধী বিপ্লবী আন্দোলন প্রেক্ষাপটে লেখা। আরম্ভটা আরেকটু আগে, উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। এই উপন্যাসে রয়েছে ভগিনী নিবেদিতা, ওকাকুরা, যতিন্দ্রনাথ, সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অরবিন্দ এবং তার ভাই বারীন, বাঘা যতিন আর তার শিষ্য নরেন ভট্টাচার্যের (এম এন রায়) মত বিখ্যাত সব চরিত্র।
নক্ষত্র-নূপুর সম্পর্কে ড. এশরার লতিফ বলেন ‘প্রথম খণ্ডে ঘটনা প্রবাহের প্রয়োজনে অনেক বেশি ঘটনা ও চরিত্র চলে এসেছে। দ্বিতীয় খণ্ডের চরিত্র সংখ্যা অনেক কমে আসবে। এই উপন্যাসে একই সঙ্গে ধারণ করা হয়েছে রাশিয়ার বিপ্লবী এবং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া বাঙালি বিপ্লবীদের প্রেম এবং বিপ্লবের কাহিনী এবং এসব ভূ-খন্ডের বিপ্লবীদের আন্তঃসম্পর্ক। কখনো কখনো বিপ্লবীদের চাইতে তাঁদের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকাদের ভূমিকা বিপ্লবী কর্মকান্ডে ছিল অনেক বেশী। এই উপন্যাসে সেই সব নারীদের ভুমিকাও চিহ্নিত এবং চিত্রিত হয়েছে’।
লেখকের রম্য ছড়ার বই ‘কী অদ্ভুত’ জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পেয়েছে। ড. এশরার লতিফ যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতক। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ ও উপকরণ সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকাগুলোতে তার গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু একাডেমিক জার্নালের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। তিনি প্রথম বাংলাদেশী সার্টিফাইড প্যাসিভ হাউজ ডিজাইনার।
বইয়ের প্রতি ভালোবাসা তার ছোটবেলা থেকেই। তার প্রথম গল্প সংকলন ’স্ফটিক বাড়ি ও অন্যান্য গল্প’২০১৮ সালের শুরুতে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। তার ইংরেজি ছোটগল্প ’মীরা’ ২০১৯ সালের বার্লিন রাইটিং প্রাইজ প্রতিযোগিতায় লং-লিস্টেড হয়েছিল।
এছাড়া তার উপন্যাস ‘গোধূলি রিসোর্ট‘ ২০১৯ সালে, ‘অলাতচক্র’ ২০২০ সালে, ‘বর্ণ-পরমাণু‘, ‘প্র পঞ্চভুজ‘, জেসমিন এবং একগুচ্ছ অন্ধকার‘, ‘ত্র্যহস্পর্শ‘ ২০২১ সালে, ‘ঝুমঝুমি কি বেঁচে আছে‘, ‘ইতি, তোমার রূপা‘ ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়। তার গল্পগ্রন্থ ‘গল্পদ্রুম‘ ২০২১ সালে এবং ‘গল্পবৃষ্টি‘ ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়। তার কাব্যগ্রন্থ ‘শেয়ের-এ-এশরার‘ ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়।