শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: খেলাধুলা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী    বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি    শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল    দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি    কেনিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০    বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী    ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
তাজউদ্দীন আহমদের অবমাননার প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের হামলা
ইন্ধনদাতা জেলা স্বাচিপ সাধারণ সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:৪৫ এএম আপডেট: ২১.০১.২০২৩ ১:৫৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে ১৯ জানুয়ারি রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামের বানান ভুল করে তাকে অবমাননা করার পর প্রতিবাদ করায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র। 

সূত্র ভোরের পাতাকে নিশ্চিত করেই জানিয়েছে, মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে টি শার্টে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর নামের বানান ভুল থাকায় প্রতিবাদ করে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের একাংশের নেতারা। এ বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা চলমান অবস্থাতেই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকা  শিক্ষকদের অনুসারী ছাত্রলীগের আরেক পক্ষের নেতারা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সপ্তাহের আয়োজনে সবার অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের নেতা মিজানুর রহমান ও তার অনুসারী ফাহিম হোসেনসহ অন্যদের দায়িত্ব দেন গাজীপুর জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সাধারণ সম্পাদক ডা. সুশান্ত কুমার সরকার। মিজানুর রহমানও  তাঁর অনুসারী বলে জানা গেছে। 



অনুষ্ঠান আয়োজনের সকল কাজ মিজানুর রহমান ও তার অনুসারীরা ভাগ করে নিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে মিজান ও ফাহিমের বিরুদ্ধে বিবাহিত এবং বিএনপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে মিজানুর রহমান ও তার অনুসারীরা।

এ বিষয়ে ফোন করা হলেও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের নেতা  মিজানুর রহমান ফোন রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং  সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে জানানো হলেও রাত গভীর হওয়ায় তাদের বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০১৬ সালে , যে কমিটির সভাপতি ছিলেন রবিউল ইসলাম অনিক এবং সাধারণ ছিলেন মোহাম্মদ আলামিন। তিন সদস্যের সেই কমিটি ২০১৭ সালে মেয়াদোর্ত্তীণ হলেও অনিক এবং মোহাম্মদ আলামিন চাকরি করছেন এবং বিয়ে করে কলেজেও আসেন না। এ নিয়ে ছাত্রলীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা নতুন কমিটির দাবি তুললেও গত কমিটির কোনো শীর্ষ নেতারাই কর্ণপাত করেননি।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]