১লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

১লা ডিসেম্বরকে জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও পতাকা সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে পরদিন থেকেই সারাদেশে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালালসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন ও পতাকা সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি সংযোজিত হয়নি। আমরা দীর্ঘদিন যাবত ১লা ডিসেম্বরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অবিলম্বে ১লা ডিসেম্বরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, "১লা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার পাশাপাশি অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধ কোটা বহাল ও কমিশন গঠন করে কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে।"
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত ১লা ডিসেম্বরকে জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়নি যা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির আমলকখনোই মেনে নেয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, শেয়ারবাজার লুটকারী ও ঋণ খেলাপীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের উপজেলা ভিত্তিক তালিকা দ্রুত প্রণয়ন; যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের যারা সরকারি চাকরিতে বহাল আছে তাদের বরখাস্ত করে নাগরিকত্ব বাতিল, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বংশধরদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে গণযোগাযোগ মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ কারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের হলোকাস্ট এক্ট বা জেনোসাইড ডিনাইয়াল ল এর আদলে আইন করে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিচার করতে হবে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ওপর এখনো হামলা, মামলা, নির্যাতন চলছে। রাষ্ট্রের গাফিলতির জন্য এখনো বাংলাদেশের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটি যুক্ত হয়নি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতৃত্বে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।"