রোববার ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

শিরোনাম: ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ    ইসির সঙ্গে ইইউ বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠক রোববার    নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প    দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন কত, জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক    ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য কার্বন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে    সিঙ্গাপুরকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
সরকারি সহযোগিতা চায় যাত্রা শিল্পীরা
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ৯:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে মিশে থাকা  যাত্রাপালা এখন বিলুপ্তির।গ্রাম বাংলার মানুষের দুঃখ কষ্ট,আনন্দ বেদনার চিত্র উঠে  আসতো যাত্রাপালায় । যাত্রাপালা দেখতে মানুষজন গ্রাম শহর বন্দর গঞ্জে আনন্দ উদ্দীপনা নিয়ে ভীড় করতো আজ চিরচেনা সেই যাত্রাপালা আর চোখে পড়ে না।আধুনিক প্রযুক্তি ইন্টারনেট ও মোবাইলের কারনে যাত্রাপালার অনেকটা পিছিয়ে গেছে বলে মনে করেন অনেকেই।  জুয়া আর  দেহ প্রদর্শনের কারনে যাত্রাপালার আজ বন্ধ হয়ে গেছে ।যাত্রা দলের সাথে সংশ্লিষ্ট কুশলী মাষ্টার,শিল্পী, অভিনেতা ও সঙ্গীত পরিবেশনকারী এ পেশা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশা খুঁজে নিয়েছেন। অনেকেই অর্থ ও খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কুড়িগ্রামে এক সময় ১৫ টি যাত্রাপালার দল ছিল।    কুড়িগ্রাম যাত্রা ফেডারেশন সম্বনিয়ক শ্যামল ভৌমিকের   বলেন,দীর্ঘ একে  যুগ ধরে যাত্রাপালা  বন্ধ হয়ে আছে।সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ কোন পযাত্রা  ছাড়া যাত্রা শিল্পীদের কেউ খোঁজ রাখে না।এখন আর যাত্রাপালার ডাকও আসে না।উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্পীরা দুঃখ কষ্টে আছেন।সরকারের উচিত পুরোনো সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে নতুন ভাবে যাত্রাপালার জাগরণ ঘটা।তা না হলে আমাদের শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গন থেকে যাত্রাপালা নিচিহ্ন হয়ে যাবে।নতুন প্রজন্মকে জানাতে ও সমাজে  যাত্রাপালাকে আবার ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান তিনি।



প্রতীক যাত্রাপালা মোঃ আজগার আলী বলেন,আমি ছোটবেলায় আমার পরিবারের সাথে যাত্রাপালা দেখগেছিলাম ।যাত্রাপালার শিল্পীদের সমাজ সচেতনমুলক পালা,গরীবের ভাষা,হাচন রাজা,কমলার বনবাস,দুঃখি বানেচা,গহর বাদশা বানেচা পরী এসব যাত্রা অনুষ্ঠান ।এখন আর যাত্রা চোখে পড়ে না।আজ যাত্রা ভালো লাগলো।

তিনি আরো বলেন, এখন আর যাত্রাপালার কাজের ডাক আসে না।আগের মত আয় রোজগার হয় না।বর্তমানে যাত্রাপালা অনুষ্ঠান না হওয়ায় শিল্পীরা কষ্টে আছেন। আমরা চাই যাত্রা পালা ফিরে আসুক।

কুষান যাত্রাপালার শিল্পী সালমা বেগম বলেন,আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে যাত্রাপালার সাথে  আছি।যাত্রা যেন আমার হৃদয়ের একটি স্পনদন।এই যাত্রা পালা বন্ধ হওয়ায় আমরা শিল্পীরা অনেক কষ্টে আছি।  আবার যাত্রা সানাইয়ের সুর,কথার ঝংকার আর ঢাক তবলার প্রতিধ্বনিতে  গ্রাম বাংলা মুখরিত হউক এটাই  প্রত্যাশা।

কুড়িগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিক কালচারাল অফিসার মোঃ আলমগীর কবির বলেন,বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার  ঐতিহ্য সংস্কৃতি যাত্রাপালার  ব্যপারে উৎসাহী। যাত্রাপালা প্রদর্শনের বিষয়ে কোন বাঁধা নেই।শুধু যাত্রাপালা নয় শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে কাজ করা শিল্পমনা মানুষদের মূল্যায়নে বিভিন্ন অনুদান ও সহযোগিতা করে আসছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
http://dailyvorerpata.com/ad/apon.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]