প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২, ৮:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সাভারের দেওগাঁ এলাকার কথিত কবিরাজ জয়নাল আবেদীন (৭০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা গ্রহণ করেছে সাভার মডেল থানা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মাকারিয়াস দাস।
ভুক্তভোগীদের অভিভাবকরা জানান, গত রোববার (৫ জুন) দুপুরের দিকে পৌর এলাকার দেওগাঁ দারুসসালাম মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রায় ছয় শিশু ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পথে এলাকার কথিত কবিরাজ মৃত জোনাব আলী মুন্সির ছেলে জয়নাল আবেদীন তাদের বিভিন্ন প্রলোভনে ঘরে ডেকে নেয়। ঘরের ভেতর শিশু শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করলে তাদের যৌন হেনস্তা শুরু করে জয়নাল। এ সময় কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ছয় ও সাত বছর বয়সী দুই শিক্ষার্থীকে পরপর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এই বৃদ্ধ। এ সময় উপস্থিত আরো এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানী করে জয়নাল। ঐ দিনই শিশুরা অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের চিকিৎসার জন্য অভিভাবকরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
সাভার আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক মর্জিনা বেগম জানান, সাত বছর বয়সী শিশুটিকে আমার কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে আমি পরীক্ষা করে দেখি তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
সাত বছর বয়সী ভুক্তভোগী এক শিশুর মা অভিযোগ করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবরসহ অন্যান্যররা বিষয়টি মিমাংসার জন্য বারবার আমাদের কাছে এসেছে। এরপরও আমরা চেয়েছি অপরাধীর বিচার হোক। তাই আমরা সোমবার রাতে এসে পুলিশের কাছে এসে অভিযোগ করেছি।
সাভার মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মাকারিয়াস দাস বলেন, থানায় কয়েকজন শিশু ছাত্রী ও অভিভাবকরা এসে ৭০ বছর বয়স্ক একজন বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৪ ও ১৫ নং পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের যৌন হেনস্তা ও শিশু ধর্ষণ খুবই অমানবিক। ভুক্তভোগী দুই শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওয়ার স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত জয়নালকে আদালতে নিয়ে গেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর।