তিনি বলেন, আমি যদি ঢাকা শহরের কথা বলি, সেখানে খালগুলো সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের পর তারা কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। কিছু কিছু খাল সংস্কার করেছে। তাতে করে গত বছরের চেয়ে আমরা অবস্থার কিছু উন্নতি লক্ষ্য করেছি। এবছর এই প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। কয়েকটা খাল অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে আমরাও অংশ নিয়েছি। তাই স্বাভাবিকভাবে আমরা মনে করি, এবছরও আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।
জলবায়ুর উপর কারো হাত নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি কখনো কখনো পৃথিবীর সব দেশেই হয়। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি মোটামুটি আছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, একটি কমপ্রিহেনসিভ অ্যারেঞ্জমেন্ট লাগবে—কতটুকু রাস্তা লাগবে, কতটুকু খেলাম মাঠ লাগবে, ওয়াটার বডি লাগবে। আমি যখন ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান করতে যাই, তখন অনেকের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। ঢাকায় ৬ শতাংশ জায়গা আছে রাস্তার জন্য। ঘর করছে, সব জায়গা থাকার জন্য করতে চাচ্ছে। স্কুল কোথায় হবে এটা ঠিক করতে হবে, আবাসন সব জায়গায় লাগবে না। কোনো দায়িত্ব নেব না কিন্তু কথা এমনভাবে বলবো যে, শেষ পর্যন্ত ঢাকা শহরে বাংলাদেশের সব মানুষ এসে থাকবে। প্রতিদিন ৫ হাজার লোক ঢাকায় আসে। এখানে সুবিধা আছে। আমি তো ওভার নাইট সারা বাংলাদেশের সব জায়গায় সুবিধা পৌঁছে দিতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৩ বছর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হওয়ার কারণে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। অনেক স্কুল হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ বেড়েছে। সারা পৃথিবী যেটা করে, তারা শহরে বসবাস করার ক্ষেত্রে ট্যারিফ ইন্টারভেনশন করেছে। গ্রামে যদি হোল্ডিং ট্যাক্স হয় ৫০ টাকা, এখানে ৫ হাজার টাকা করে দেন। যাত্রাবাড়ীতে যদি ২০ টাকা হয়, গুলশানে ৫০০ টাকা করে দেন। আমি বলি, আর কেউ কথা বলে না। আমাদের ইন্টারভেনশন করতে হবে, দূরে থাকলে ফ্যাসিলিটি দিতে হবে। সেখানে বিদ্যুতের দাম কমিয়ে দেন।
গ্রামে যে পারছে বাড়ি বানাচ্ছে। আমি কিছু দিন আগে সংসদে বলেছিলাম গ্রামেও ট্রাফিক জ্যাম হবে। এখন থেকে আমাদের সতর্ক হতে হবে, গ্রামকে সেভাবে গড়তে হবে। আরেকটা বিষয় হলো আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে, উন্নতি হলে মানুষ গাড়ি-ঘোড়া কিনবে। আমি যখন নির্বাচন করি, তখন আমারটা ছাড়া আর গাড়ি দেখিনি। এখন যখন গ্রামে যাই, কিছুক্ষণ পর পর একটা করে গাড়ি ক্রস করে। গ্রামে যারা বাস করে, তার জমি আছে সে যেখানে-সেখানে বাড়ি করে ফেলবে—প্রশ্ন রাখেন তাজুল ইসলাম।