বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৫ ফাল্গুন ১৪৩১

শিরোনাম: খুলনায় মুখোমুখি অবস্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি   শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য : প্রেসসচিব   রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আহত   ষোলো বছরে ব্যানার ধরার ৬ জনও ছিল না: কুয়েটে সংঘর্ষের পর ছাত্রদলকে হাসনাত   কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৫০   উত্তরায় দম্পতিকে প্রকাশ্যে কোপানো দুজন রিমান্ডে   শেয়ারবাজারের ৭শ কোটি টাকা লুট করে লাপাত্তা হাসান তাহের ইমাম   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
‘এখন স্বপ্ন দেখছি কলেজে ভর্তি হওয়ার’
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম

‘আমি সাদিয়া আক্তার। এতদিনে হয়তো বাল্যবিবাহের শিকার হয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতাম। আরো কত কি হতো। অতিদরিদ্র বাবার পক্ষে আমাকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হচ্ছিল না।

এর মধ্যে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে একটা কাজ খুঁজছিলাম। চার ভাইয়ের মধ্যে আমি একমাত্র বোন এবং সবার বড়। বাবা-মা বলতেন আমি ডাঙর (বড়) হইতাছি, পড়ালেখা করা লাগবে না। এই বয়সে নাকি মেয়েদের শ্বশুরবাড়িই আসল জায়গা।

বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল। এর মধ্যে আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ। তাদের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমাকে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আমাকে একটা সেলাই মেশিন দেয়।

এই সেলাই মেশিন পেয়ে আমার জীবনের সব কিছু পাল্টে গেছে। আমি এখন স্বপ্ন দেখছি কলেজে ভর্তি হওয়ার। পড়ালেখার খরচ মিটিয়ে এখন নিজের ভবিষ্যতের পুঁজি জমা করছি। টাকার অভাবে এক বছর পড়ালেখা বাদ দিয়েছিলাম। সেলাই মেশিনে আয়ের সেই টাকায় আবার পড়া শুরু করেছি।

এখন আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী। আগামী এপ্রিলে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেব। টেস্ট পরীক্ষায়ও ভালো ফল করেছি।’ 

কেমন আছেন সাদিয়া এটি জানতে তার বাড়িতে গেলে এসব কথা জানা যায় এবং দেখা যায়, পড়াশোনার পাশাপাশি একটা সময়ে তিনি সেলাই মেশিনে কাজ করছেন। অর্ডারি কাপড় তৈরি করছেন। 

নীরবে-নিভৃতে নিজ ঘরের এক কোণে জানালার পাশেই বসানো সেলাই মেশিনে কাজ করছেন তিনি। পাশেই তৈরি করা অনেক পোশাক। কাস্টমার নির্ধারিত সময়ে নিয়ে যাবে। প্রতি মাসে তার আয় হয় কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা। 

সাদিয়া আরও জানান, পরীক্ষা সামনে থাকায় এখন পড়ালেখায় মনোযোগ দিয়েছেন। তারপরও ফাঁকে ফাঁকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেলাই মেশিনের এই আয় দিয়েই তিনি ফরম পূরণ করবেন। পড়ছেন প্রাইভেটও। আগে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতেন। এখন নিজের আয় দিয়েই ইজিবাইকে করে বিদ্যালয়ে যান। এতে তার অনেক আনন্দ হয়। পড়ালেখার মধ্যেও নিজের আয় হচ্ছে এটি ভেবে তিনি অনেক খুশি। 

তিনি বলেন, ‘এখন আর বাবা বিয়ের কথা বলেন না। ভালো করে পড়তে বলেন, একটি চাকরি করতে বলেন। এই পথেই আমি আছি। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার এই পথ তৈরি করে দিয়েছে।’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com