
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে উত্তরের এই জেলায় দেখা দিয়েছে কুয়াশার উপস্থিতি।দিনের বেলায় গরমের অনুভুত থাকলেও সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের প্রভাব পড়া শুরু করেছে।ইতিমধ্যে বাজার দখল নিতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক সবজির। ফলে অনান্য শাক সবজির দাম৷ কিছুটা কমতে শুরু করলেও বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও পিয়াজের দাম।
কুড়িগ্রাম বাজার ঘুরে দেখা যায়,শীতকালীন শাক সবজির মধ্যে ফুলকপি, পাতা কপি,লাউ,বেগুন মুলাসহ সবজির বাজারে দর কিছুটা হ্রাস পেয়েছে তবে কাঁচামরিচ ও পিয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া উদ্বিগ্ন হয়েছে ক্রেতারা।কেননা কুড়িগ্রামে গত দুদিনে পিয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম প্রতি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে ৫০-৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম পৌর শহরে আদর্শ পৌর বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুই দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ ও পিয়াজের দাম বেড়েছে।এলসি পিয়াজ প্রতি কেজি ৪০ দেশি পিয়াজ ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে।বিক্রিতারা বলছেন গত ১০-১৫ দিন আগে থেকে ফুলকপি গাঁজর শীম বাধা কপি লাউ চিচিঙ্গা সহ শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে।শুরুতে দাম বেমি থাকলেও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে সব সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। বেড়েছে সবজির সরবরাহ।
সবজি বিক্রেতা একরামুল হক বলেন,গত সপ্তাহে প্রতি ফুলকপি,কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সোমবার প্রতিকেজি ৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এদিকে বাধাকপি ৯০ -১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মুলা ৫০ থেকে নেমে ৩৫ টাকা, শীম ১৫০ টাকা থেকে নেমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে।যা প্রতি কেজি ১৩০-১৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
সবজি বিক্রেতা মোঃ আব্দুল খালেক গত এক সপ্তাহ আগে সবজির দাম েবশ ছিল।এখন অনেকটা দাম কমেছে।এক কেজি ফুলকপি সপ্তাহ আগে বিক্রি হত ১৬০ টাকা এখন তা কমে মাত্র ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এরকম অনান্য শাক সবজির দাম গড়ে ১০-১২ টাকা কমেছে।তবে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা আর পিঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরেক সবজি বিক্রেতা মোঃ সোলাইমান হোসেন বলেন,কাঁচা বাজারের দর দামের ঠিক থাকে না।সকালে বেলা যে দামে বিক্রি করা হয় বিকেলে আর সেই দাম অনেক সময় ঠিক থাকে না।তবে গত ২ -৩ দিনে পিয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে।এখন ১ কেজি পিয়াজ ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা।
ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, গত পরশু দিন দেশি মরিচ ৪০ টাকা দরে কিনেছিলাম আজ ৬০ টাকায় কিনতে হলো।পিয়াজের দামও কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে।এমনিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম চড়া।কাঁচাবাজারের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের ক্রয় ক্ষতার বাইরে চলে যাবে।
কুড়িগ্রাম আদর্শ পৌর বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজু আহমেদ বলেন,কাঁচামালের বাজার দর স্থায়ী থাকে না আমদানির কারনে প্রতি নিয়ত বাড়ে কমে।তবে বাজারে শীতকালীন সবজি আমদানি শুরু হয়েছে।আগের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে পিয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা দরে বেড়েছে বলে জানান তিনি।