এখনো স্বপদে জনস্বাস্থ্যে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের বিতর্কিত কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র দে
প্রকাশ: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৪:৪১ পিএম আপডেট: ১১.০৫.২০২৫ ৪:৫০ PM

পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোষরেরা এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে। সরকারি চাকুরীজীবী হয়েও ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের সুবিধা নিতে "বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ"র রাজনৈতিক কমিটি দিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রভাব বিস্তার করা বিতর্কিত প্রকৌশলীরা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন।
সরকারি সার্ভিস রুল অনুযায়ী সরকারি চাকুরীতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তাদের সার্ভিস রুল অনুযায়ী কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে না। কোন রাজনৈতিক দলের মিছিল এবং সমাবেশেও যোগদান করতে পারে না ।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীর কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ১১ সদস্যের সবাই উপরোক্ত বিধি ভঙ্গ করেছেন।
এর মধ্যে অন্যতম সদস্য বিধান চন্দ্র দে, বাড়ি গোপালগঞ্জে হওয়ার সুবাদে নিজের অধিপত্য জহির করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে। সর্বশেষ ‘পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন’ নামের একটি প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন বিধান চন্দ্র দে। ওই প্রকল্প নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর তিনি গ্রাউন্ড ওয়াটার সার্কেলের (ঢাকা) তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব পেয়েছেন।
ফেনী সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জানায়, গত বছরের ২০২২ সালের জুন থেকে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২৯ হাজার ৬৩৩টি টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৩৯৮টি টিউবওয়েলে আর্সেনিক মিলেছে। এসব টিউবওয়েলের মাঝে মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে পাঁচ শতাধিক টিউবওয়েল। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া, ফাজিলপুর, ছনুয়া ইউনিয়নে আর্সেনিক পাওয়া টিউবওয়েলের সংখ্যা বেশি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ আরো জানায়, জেলা সদরের ১২ ইউনিয়নের ১০৮টি ওয়ার্ডে ৬০-৭০ হাজার গভীর-অগভীর টিউবওয়েল রয়েছে। এসব টিউবওয়েল থেকে সংগৃহীত পানি গৃহস্থালীর কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহার করা হচ্ছে। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে আর্সেনিক সংশ্লিষ্ট রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।
তবে সেসময় ওই প্রকল্পের সমাধান না করেই নিজের পদ উন্নতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রকৌশল অধিদপ্তরের আর্সেনিক বিভাগের প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র দে।
একাধিক নির্ভরযোগ্য তথ্য এবং প্রমাণ জানায় পদায়ন করতে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন পর্যন্ত করছে এই প্রকৌশলী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে তার মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।