প্রকাশ: রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৯ পিএম আপডেট: ২৩.০৩.২০২৫ ৬:৪৭ PM

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্ক্যাভেঞ্জার্স এন্ড ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফের খুঁটির জোরের নেপথ্যে কি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কমোডোর মাহাবুর রহমান? নাকি অন্য কেউ?
সেই আলোচনা এখন টক অব দা সিটি কর্পোরেশনের। ক্যামেরায় লতিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার ভিন্নরূপ। নিজের আসল চেহারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানান দিলেন তিনি।
আব্দুল লতিফ নামে একটি ফেইজবুক আইডিতে দেখা যায় বর্জ্য স্থাপনা বিভাগের প্রধান মাহবুবুর রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠ ছবি। যার স্ক্রিন শট সংরক্ষিত রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে।
এদিকে বার বার সংবাদ প্রকাশ করা সত্ত্বেও বহু অপকর্মেও অনুঘটক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি নগর প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
# অবরুদ্ধ বিপণনকর্মী জাহাঙ্গির
কিন্তু কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না নগর প্রশাসন তা জানার চেষ্টা করা হয় ভোরের পাতার পক্ষ থেকে। একটি বিশেষ সূত্রের বরাতে জানা যায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধানের শেল্টারেই লতিফ চালিয়ে চাচ্ছে তার এই লঙ্কাকাণ্ড। তবে সূত্রটি দিতে পারেনি কোনো দালিলিক প্রমাণ।
এদিকে ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া ছবি নিয়ে মুঠোফোনে কথা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কমোডোর মাহাবুবুর রহমানের সাথে।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, দুনিয়ার লোক এসে ছবি তোলে। অমি কি করব বলেন? আপনার যে রিপোর্ট করার তা করে দেন। তারপরও লতিফের বিষয়টা আমি প্রশাসককে বলছি। দেখি ওনি কি ব্যবস্থা নেন।
অপরদিকে পত্রিকা বিতরণের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোশনের তৃতীয় তলায় জাহাঙ্গির নামে পত্রিকার এক বিপণনকর্মীকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অবশ্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মুঠোফোনে কথা হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমানের সাথে। তিনি মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, ভাই আমার জানামতে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ, গেল ৩, ৪, ৫ ও ১১ মার্চ দৈনিক ভোরের পাতায় লতিফকে নিয়ে চারটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও রহস্যজনক কারণে চুপ নগর প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।