শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ালেন বিএনপি নেতা
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:২৩ AM

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বোয়ালী ইউনিয়নের গাছবাড়ীতে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ালেন বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলী আজম। 

স্বজনরা জানান, আলী আজমের মা সাহেরা বেগম (৬৭) বার্ধক্যজনিত কারণে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মারা যান। শেষবারের মতো মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন আলী আজম। বেলা ১১টায় হয় জানাজা। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন আলী আজম।

এদিকে মায়ের জানাজার সময়ও আলী আজমের ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে না দেওয়ায় উপস্থিত মুসল্লি ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সমালোচনার সৃষ্টি।

আলী আজমের ভাই আতাউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলে ভাইকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। জানাজা পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ খুলে দেয়নি।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ বলেন, মায়ের মৃত্যুর খবরে আলী আজমকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় জানাজার সময়ও তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। একটি মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে একজন রাজনৈতিক নেতাকে এভাবে উপস্থাপন সঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেন, আলী আজমকে নয়জন পুলিশ সদস্যসহ তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং জেল আইন অনুযায়ী তাকে পাঠানো হয়েছিল। নিরাপত্তার জন্যই হয় তো তাকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামালার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় ২ ডিসেম্বর আলী আজমকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় আলী আজমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ১৫০ জনকে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুল মান্নান শেখ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com