গোল ডটকম জানিয়েছে, মেসির সংগ্রহে রয়েছে ২০ লাখ ডলারের পাগানি জোন্ডা ট্রাইকালার, একটি ফেরারি এফ৪৩০ স্পাইডার, একটি ডজ চার্জার এসআরটিএইট ও মাসেরাটি গ্রান টুরিসমো। এছাড়া পরিবেশ-বান্ধব বাড়ি এবং বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও রয়েছে মেসির।
দ্য রিয়েল ডিল জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার রোজারিও’তে ‘পরিবেশ-বান্ধব’ বাড়ি রয়েছে মেসির। ২০২১ সালে ফ্লোরিডার সেইন্ট আইল বিচে একটি বিলাসবহুল কন্ডোমিনিয়াম কিনতে ৭৩ লাখ ডলার খরচ করেছেন। এছাড়া হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন মেসি।
২০১৭ সাল থেকে মেসি হোটেল চেইন এমআইএম হোটেলের মালিক। এই চেইনকে পরিচালনা করে ম্যাজেস্টিক হোটেল গ্রুপ। ইবিজা, মাজোরকা ও বার্সেলোনায় এই গ্রুপের রিসোর্ট রয়েছে। ২০২১ সালে এই চেইন আরান উপত্যকায় তাদের প্রথম শীতকালীন রিসোর্ট চালু করে।
ফোর্বস জানিয়েছে, চার তারকার এই হোটেলে একটি স্পা, একটি ইনডোর সুইমিং পুল, একটি ফিটনেস সেন্টার ও মাউন্টেইন গাইড সার্ভিসেসসহ ১৪১টি রুম রয়েছে।
২০১৭ সালে সাড়ে ৩ কোটি ডলার দিয়ে হোটেলটি কিনেছিলেন মেসি। প্রায় একই সময়ে ওই ভবনটি গুড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়, কারণ সেটির ব্যালকনি খুব বড় ছিল। তাই গুড়িয়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
গোল দিয়ে যেভাবে ডানা মেলে দৌড় দেন, ঠিক সেভাবেই বিশ্ব ঘুরে বেড়াতে নিজের ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে বসেন মেসি। বিশ্বে ঘুরে বেড়ানোর জন্য দেড় কোটি ডলারের ব্যক্তিগত বিমান রয়েছে এই আর্জেন্টাইনের।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, মেসির 2004 গালফস্ট্রিম ভি ব্যক্তিগত বিমানে দুটি কিচেন ও বাথরুম রয়েছে। ওই বিমানে একসঙ্গে ১৬ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারেন। বিমানটির নম্বর ‘১০’। এই জেটের লেজে স্ত্রী আন্তোনেল্লার নাম লেখা রয়েছে। আর বিমানের সিঁড়িতে মেসির সন্তানদের নাম লেখা রয়েছে।
ইবিজাতে ছুটি কাটাতে ভালোবাসেন মেসি। এ বছর নিজের ৩৫তম জন্মদিন ইবিজার একটি সমুদ্রসৈকত হোটেল উশুইয়াতে পরিবারের সঙ্গে উদ্যাপন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে বার্সেলোনায় তার সাবেক টিমমেট সেসে ফারেগাস ও লুইস সুয়ারেজ তাদের স্ত্রীদের নিয়ে যোগ দেন। এছাড়া আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতেও অবকাশ যাপনে বেশ স্বাছন্দ্য বোধ করেন মেসি।
২০০৭ সালে ইউনিসেফের সঙ্গে মিলে লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন আর্জেন্টাইন কাপ্তান। এই ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে ঝুঁকির মুখে থাকা শিশুদের সহায়তা করে থাকে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মেসির টাকায় সিরিয়ায় যুদ্ধে এতিম হওয়া ১৬০০ শিশুর জন্য ক্লাসরুম গড়ে তোলা হয়।
আর ২০১৯ সালে কেনিয়ার নাগরিকদের খাবার ও পানি সরবরাহের জন্য ২ লাখ ১৮ হাজার ডলার দান করে এই লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন বলে জানায় গোল ডটকম।