শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
গুরুদাসপুরে কলার বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ৮:১৯ পিএম

চলনবিলা লের নাটোরের গুরুদাসপুর,বড়াইগ্রাম ও সিংড়া উপজেলায় অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। অনেক কৃষকের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে কলাচাষে। কলার বাম্পার ফলন সেই সাথে ন্যাযমুল্য পাওয়ায় এই অ লের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ও খরচ খুবই কম। জৈব সার ব্যবহার করে কলা চাষ করার ফলে স্থানীয় বাজারে এ কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

ছোট ভ্যান, ট্রলি, লছিমন- করিমনে যে যার মতো করে কলা নিয়ে আসছেন হাটে। সাজিয়ে রাখা হচ্ছে কলার হাটজুড়ে। দুরদুরান্ত থেকে ফরিয়া মহাজনরা আসছেন সেই কলা কিনতে। যাবে বিভাগীয় শহর থেকে দেশের নানাপ্রান্তে। উৎসুক কৃষান কৃষানীদের ব্যস্ততার যেন শেষ নেই। ভোররাত থেকেই চলছে কলা কাটা আর গাড়িতে সাজানোর কাজ। যতদুর চোখ যায় শুধু কলা আর কলা। পাশেই দাড়িয়ে রয়েছে সারি সারি কলা বাহীট্রাক। শুক্র ও শনিবার বাদে  সপ্তাহে ৫ দিনই হয় কলা বেচা কেনা। এমন চিত্র দেখা যায় চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর হাটে।

গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের কলাচাষী মোঃ আমিনুল ইসলাম লিটন বলেন, মাছের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে কলাচাষ করেছি। মাছেলাভ কম হলেও কলায় প্রচুর লাভ হয়েছে। একবার কলার গাছ লাগালে ৩ থেকে ৪ মৌসুম বিক্রি করা যায়। এবছর ৩০ বিঘার পকুর পাড়ে কলারচাষ কওে ছিলাম। খরচ বাদে শুধু কলাতেই ৪লাখ টাকা লাভ হয়েছে।

বিলচনশহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের প্রভাষক কৃষিবিদ জহুরুল হক সরকার জানান, আমি এক একর জমিতে কলাচাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা খরচ করে ৫০ থেকে ৬০ টাকার কলাবিক্রি করেছি। এই এলাকার মাটি অত্যান্তউর্বর। তাই ফসলের পাশাপাশি সব ধরনের ফল বাঙ্গী, তরমুজ, লিচু, আম ও কলা ভালো হয়।একারনে এই এলাকার কৃষকরা ফসলের সাথে ফলচাষেও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে।

নাজিরপুর হাট ইজারাদার নজরুল ইসলাম জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ছাড়াও নাটোরের সিংড়া ও বড়াইগ্রাম থেকেও প্রচুর পরিমানে কলা আসে এই হাটে। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কলা লোড হয়ে দেশে নানা প্রান্তে যাচ্ছে। প্রতি কাইন কলা আকার ভেদে ৩শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক ট্রন কলা আসে এই হাটে।

কলা চাষে সফল চাষী মান্নান সরকার জানান, জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এখানে ফলন ভালো হয়। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি এবং খরচ কম হওয়ায় আমাদের এলাকার কৃষকরা এখন কলাচাষে ঝুকছে বেশি। আমি ৫ বছর যাবত কলাচাষ কওে আসছি। এবছর ১০ বিঘা জমিতে সাগর কলা, অমৃত সাগর, মেহর সাগরসহ বিভিন জাতের চারা রোপণ করে ছিলাম। প্রতি বিঘা জমিতে ৩শ থেকে ৪শ চারা রোপণ করা যায়। বছর খানেকের মধ্যেই রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যায়।আমার কলাচাষে সফলতা দেখে এলাকার কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান জানান, গত বছর উপজেলায় ২৫০ হেক্টও জমিতে কলারচাষ করা হয়ে ছিলো।এবছর আরো ৫০ হেক্টও কলাচাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কলা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com