প্রকাশ: শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২, ৮:৩৮ পিএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ঢাকা - খুলনা মহাসড়কের অবাধে চলছে অবৈধ যানবাহন নছিমন-করিমন ও ভটভটি।
এতে সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে বাড়ছে নিহত ও আহতদের সংখ্যা। স্থানীয় বাস শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশের সামনে দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যান চলাচল করলেও এগুলো বন্ধ করার জন্য নেওয়া হচ্ছে না স্থায়ী কোনো আইনগত ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখ যায় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া - পাটুরিয়া দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন চলছে নছিমন, করিমন, আলম সাধু, ভটভটি অবৈধ যানবাহন। শ্যালো ইঞ্জিন ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে এসব অবৈধ যানবাহন তৈরি করা হচ্ছে। তাদের নেই কোনো বৈধতা। পুলিশের সামনে প্রতিনিয়ত চলছে নছিমন, করিমন। যে কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট মডেল হাই স্কুলের সামনে মহা সড়কে নিয়মিত গরু আনা নেওয়া করছে শতাধিক এই অবৈধ যানবাহন। এ ছাড়া বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাট সহ বিভিন্ন পন্য নিয়ে নসিমন, করিমনে করে সরবরাহের করছে।
নছিমনে চলাচলকারী গরু ব্যবসায়ী বাচ্চু মোল্লা বলেন, নছিমন, করিমন, ভটভটি দিয়ে তারা গরু আনা-নেওয়া করেন। সে স্বীকার করেন, এগুলো অবৈধ ও অনিরাপদ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের মহাসড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। খরচ বাঁচাতে মিনি ট্রাকের বিকল্প হিসেবে এই যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন। এসব গাড়ির ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এই যানবাহন চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স। অনেক সময় মালপত্রসহ গাড়ি উল্টে যায়।
রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ( ২২৮৪) সাধারণ সম্পাদক মো.আ. রশিদ বলেন, শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যানবাহন চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারন এই অবৈধ যানবাহন। নছিমন,করিমন,ভটভটি সহ সকল শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি অবৈধ যানবাহন পুলিশের সামনে প্রতিনিয়ত চলছে সড়কে। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধের জোর দাবী জানাচ্ছি।
রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে যে সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।