
গত ২০ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রি. তারিখে দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে 'সরিয়ে দেয়া হচ্ছে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে!' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে, গণপূর্ত অধিদপ্তর উক্ত উদ্দেশ্যমূলক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বর্তমানে গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার সরকারের সকল স্তরে সৎ, নিষ্ঠাবান ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ সম্মতিতে যোগ্যতম কর্মকর্তা হিসেবে তাঁকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। যে প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তা যাচাই না করেই প্রতিবেদক যেভাবে প্রধান প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর কে উপস্থাপন করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি প্রকারান্তরে তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা করেছেন। যে প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মনগড়া প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পত্রিকার প্রতিবেদক এই রিপোর্ট করেছেন; সেই প্রতিষ্ঠানের কতিপয় ব্যক্তির কিছু অসৎ উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের নিমিত্তেই এই প্রতিবেদক কাজ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ধর্মচর্চা মানুষের মৌলিক অধিকার। ধর্মচর্চা তথা ধর্মপ্রচার কোনোটিই সরকারি আচরণ বিধিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। বরং NIS (National Integrity Strategy) তথা জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে ধর্মীয় মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়। সঠিক ধর্মপালন মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধকে শাণিত করে। মহান সৃষ্টিকর্তার ভয়ে ও ভালোবাসায় তাকে অন্যায়, অসুন্দর ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। তিনি সরকারি চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দীর্ঘ চাকরিজীবনে যেসব স্থানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সব ক্ষেত্রেই তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিবেদনে সংবাদে হাকিমাবাদ খানকা শরিফ নিয়ে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। এর সঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কোন সংশ্লিষ্টতা বা সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া খানকার মুরিদদের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলার যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে বর্তমানে গণপূর্ত অধিদপ্তরে চলমান কাজে অংশ নেয়া সকল ঠিকাদারই সেক্ষেত্রে বিগত ১ (এক) বছরে তালিকাভুক্ত হতে হবে, যা বাস্তবসম্মত নয়। আবার উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বা বড় অংকের কাজ করতে হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে অবশ্যই PPR এর নিয়ম অনুসারে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। অর্থাৎ বর্তমানে অত্র অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত ঠিকাদারদের সম্পর্কে প্রতিবেদক যে তথ্য দিয়েছেন তা একেবারেই তথ্য নির্ভর নয়। এছাড়া নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়ে অত্র অধিদপ্তরে কোন দরপত্র অনুমোদন করা হয় না। প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রমাণক সহ তথ্য উপস্থাপন করতে পারেনি।
HBRI তে সুবিধাপ্রাপ্ত সক্রিয় কোন ঠিকাদার গোষ্ঠির অস্তিত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরে নেই। প্রতিবেদনে উল্লেখিত কিংডম বিল্ডার্স নামীয় প্রতিষ্ঠানটি পূর্ত ভবন, ট্রেনিং একাডেমী বা প্রধান প্রকৌশলীর বাসভবনের কোন প্রকার মেরামত/ সংস্কার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। উল্লেখ্য যে, মোহাম্মদ শামীম আখতার গণপূর্ত অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী পদে যোগদানের ৭ বছর পূর্ব থেকেই কিংডম বিল্ডার্স নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।
মোহাম্মদ শামীম আখতার গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদে যোগদানের পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের দিক নির্দেশনায় গণপূর্ত অধিদপ্তরকে একটি যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধান প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নিয়ে এই ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অত্যন্ত ব্যথিত। এ ধরণের বাস্তবতা বিবর্জিত ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে জনমনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হল।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনে উল্লেখিত কোনো বিষয় বানোয়াট বা মিথ্যা নয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ এবং সাতক্ষীরা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ গণপূর্ত অধিদফতরকে দিয়ে না করিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করছে, এটা শতভাগ সত্যি। এমনকি প্রকাশিত প্রতিবেদনে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক থাকাকালীন সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর প্রমাণ ভোরের পাতার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।