প্রকাশ: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:৪০ পিএম

শ্রীনগরে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজির পাশাপাশি ধনিয়া পাতা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক। রান্নাবান্নায় বিভিন্ন খাবারের বাড়তি স্বাদের জন্য ধনিয়া পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে যুগযুগ ধরে। ধনিয়া পাতার চাষ এখন বছর জুড়ে করা হলেও মূলত শীত মৌসুমে এর চাষ করা হয় ব্যাপক। কম জমিতে অল্প খরচে অধিক লাভের জন্য ধনিয়া পাতা চাষ করে সফল হচ্ছেন স্থানীয়রা। একই জমিতে ধনিয়া পাতার সাথী ফসল হিসেবে আখ, বেগুন, টমেটো, কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির চাষও করা হচ্ছে। স্থানীয় হাট বাজারে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে ধনিয়া পাতা কেনাবেচা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বীরতারা, খৈয়াগাঁও, আটপাড়া, ষোলঘরসহ বিভিন্ন স্থানে লোকালয়ের কাছাকাছি জমিতে ধনিয়া পাতার চাষ করা হচ্ছে। দেশী ও হাইব্রিড জাতের ধনিয়া পাতার সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে বেগুন, আখ, টমেটোসহ অন্যান্য সবজির চাষাবাদ করতে দেখা গেছে। এসব জমি কম খরচে ধনিয়ার বীজ বপন করেই অল্পদিনের মধ্যে কৃষক আয়ের উৎস খুজে পাচ্ছেন। কৃষক পরিবারের সদস্যরাই জমি থেকে ধনিয়া পাতা তোলার কাজকর্ম করছেন। ধনিয়া পাতা বিক্রি করছেন স্থানীয় বাজারে। জমিতেই প্রতি কেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫ টাকা করে।
জানা গেছে, এ চাষে প্রায় ১০ শতাংশ পরিমাণ জমিতে ১ কেজি ধনিয়ার বীজদানা থেকে ১০-১২ মণ ধনিয়া পাতা পাওয়া উৎপাদণ সম্ভব। উৎপাদিত এসব ধনিয়া পাতা বিক্রির টাকা স্থানীয় কৃষক পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় সাংসারিক খরচের জোগান দিচ্ছে। বীরতারা এলাকার আমিনুল ইসলাম, ষোলঘর এলাকার সুজন বলেন, একই ধনিয়া পাতার সঙ্গে অন্যান্য সবজির চাষ করছি। কিছুদিনের মধ্যেই ধনিয়া পাতা বিক্রি শেষ হয়ে যাবে। পুনরায় ধনিয়া বীজদানা বপন করা হবে। ৪৫-৫০ টাকা দরে ধনিয়া পাতার কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
এ সময় বীরতারা এলাকার টোকানী মাদবর নামে এক কৃষক জানান, তিনি ৪২ শতাংশ জমিতে ৪ কেজি বীজ বপন করেছেন। প্রচুর পরিমাণে ধনিয়া পাতার উৎপাদণ হয়েছে। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ ধনিয়া পাতা বিক্রি সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। এতে সব খরচ বাদে প্রায় লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন। জমিতে ধনিয়া পাতা তোলার কাজে পরিবারের সদস্যরা তাকে সহযোগীতা করছেন।
শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী জানান, স্থানীয়দের প্রতীত জমিতে মৌসুমী শাক-সবজি চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই কম খরচে ধনিয়া পাতা চাষেও অধিক লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয়দের পুষ্টিবাগান করার জন্য বলা হচ্ছে।