প্রকাশ: সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:২০ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এছড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ ইমেইলে পদত্যাগ পত্র পাঠালেও তার আসন শূণ্য ঘোষনা করা হয়নি। এদের দুই জনের এমন কর্মকান্ডে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। পরিস্থিতি এমনই যে, তাদের নিয়ে আলোচনা ‘টক অব দ্যা টাউন।’
জানা গেছে; ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ২ ও ৩ আসনে বিএনপির এই দুই বিএনপির নেতা জয়ী হন। নানা নাটকিয়তার মধ্য দিয়ে তারা শপথ নেন তারা । তখনও এই আলোচনা শহরে সরব ছিল। চার বছর যেতে না যেতেই চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর তারা দুজন ইমেইলের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। পরের দিন রোববার আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পত্র জমা দেওয়ায় তার আসনকে শূণ্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে হারুন অর রশিদ এমপি অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় সংসদ সচিবালয়ের ইমেইলে পদত্যাগ পাঠলেও তার আসন এখনও শূণ্য ঘোষণা করা হয় নি। সূত্র মতে- আগামী ২০ ডিসেম্বর স্বশরীরের হারুন এমপি সংসদে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন; দবিএনপি উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে, এরা জেলার উন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখেনি। বিএনপির ৭ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। তারা ফের দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আ.লীগের সভাপতি সাবেক এমপি জিয়াউর রহমান বলেন; ‘বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ, পদত্যাগের বিষয়টি নাটকিয় ঘটনা। জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল। কোন অপশক্তি আওয়ামীলীগকে দমাতে পারবে না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ বলেন; ‘বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য’র পদত্যাগের বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্ত।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অশেষ প্রচেষ্টায় দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য পাঁয়তারা করছে বিএনপি।’
এসব বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বলেন; ‘জেলার সর্বস্তরের বিএনপির নেতাকর্মীরা একতাবদ্ধ, কেন্দ্রের নির্দেশে আমাদের ৭ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন; ‘চাঁপাই’র সদর আসনটি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জনগণকে একাট্রা করে বিএনপি দলটি সংগঠিত করেছি। যার কারণে সদরের লোকজন বারবার বিএনপিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আদেশে হারুন অরে রশিদ পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন; ‘বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগমান করার জন্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছি। গত ৪ বছেরে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন ব্যপকহারে করা হয়েছে। এলাকায় মাঝে মধ্যে গেছি; কাজ করেছি।’
একেবারেই তার নির্বাচনী এলাকায় জাননা এই বিষয়টি অস্বিকার করেছেন এই এমপি।