প্রকাশ: সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০০ পিএম

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের কোচপাড়া গ্রামে রাস্তার পাশে একটি একাশি বাগানের গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ মৌমাছির খামার। এর ভেতর সারি সারি বাক্স আর ফুলে ফুলে উড়ছে অসংখ্য মৌমাছি। বাক্সগুলোর চারপাশেও মৌমাছির ওড়াউড়ি ও আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। ফুলে ফুলে পরাগায়ণ আর বাক্সগুলোর মধ্যে দিনভর ছোটাছুটি চলে মৌমাছিদের। আর এর মধ্য দিয়ে আহরণ হচ্ছে মধু।
শুধু যে মধু আহরিত হচ্ছে তা নয়, ফুলে ফুলে মৌমাছির ওড়ে বেড়ানোতে যে পরাগায়ণ হচ্ছে তাতে বাম্পার ফলন হচ্ছে ফসলের। ভ্রাম্যমাণ মৌ খামারী জুয়েল মিয়ার বাড়ি শেরপুর জেলায়। শখের বসে নিজ এলাকায় একটি বাগানে অল্প পরিসরে ৪০টি বক্সে মৌমাছি পালন শুরু করেন।
তিনি ৫ বছর ধরে বিভিন্ন মৌসুমে মধু সংগ্রহ চাষ করে আসছেন। একটি বক্স থেকে ৪০ থেকে ৫০ কেজি মধু সংগ্রহ করে থাকে বর্তমানে ১২০ টি বক্স মধু সংগ্রহ করে আসছে ভ্রাম্যমাণে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করেন। বছরে প্রায় ৬-৮ টন করে মধু উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর পাশাপাশি ভারতের ডাবর কোম্পানিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে মধু সরবারহ করেন।
নিজে ও দুই-তিনজন লোক মিলে পরিচর্যা করেন। এই মৌমাছি দল বেধে উড়ে না গেলে কোনো সমস্যা হয় না এরা খুব শান্ত প্রাণী। মৌমাছির রোগ বালাই ও খরচ কম হওয়ায় লাভজনক ব্যবসা বলে জানান জুয়েল মিয়া।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো.মাসুদুর রহমান বলেন,নভেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মৌবাক্স থেকে আয় করা সম্ভব হয়।বাজারে খাটি মধুর চাহিদা ব্যাপক, তবে প্রশিক্ষণ নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি বাণিজ্যিকভাবে মধুর চাষ করে তাহলে লাভবান হওয়া সম্ভব।