প্রকাশ: রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ৯:০২ পিএম

বাংলাদেশ "বিজিবি" ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী "বিজিপি" দু"দেশের পতাকা বৈঠকে মিয়ানমার বিজিপি বলেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে সীমান্তে আর কোন গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটবেনা।
(৩০ অক্টোবর) রোববার সকালে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নাফ নদীর শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট সংলগ্ন বিজিবির সোদান রেস্ট হাউজে দু-দেশের পতাকা বৈঠকে মিয়ানমার এ প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় সীমান্তে গোলাগুলি ও বাংলাদেশ ভূখণ্ডে গোলাবর্ষণে মর্টার শেল এসে পড়ায় আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ ও করেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কর্মকর্তারা। একইসাথে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বিজিবির সাথে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া সীমান্ত প্রটোকল অনুসরণ করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত দুই দেশের বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণ বসবাসের অঙ্গীকার করেছেন।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং মিয়ানমার বিজিপি ১১ বর্ডারগার্ড ব্রাঞ্চের পুলিশ কর্নেল ইয়ে ওয়াং শো।
বিকেলে টেকনাফে বিজিবি ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরে উল্লেখিত কথাগুল জানান বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। পতাকা বৈঠকে সীমান্তে গোলাগুলি ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গোলাবর্ষণের জন্য মিয়ানমার প্রতিনিধির কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আজিজুর রউফ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকাল ৯ টায় টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাটে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুইটি স্প্রিড বোট যোগে পৌঁছে।