
করোনা ভাইরাস এর কারণে খালেদা জিয়ার পরিবার বলেছেন তিনি অসুস্থ সে কারণে তার সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কাজ্য বিধির চার’শ এক ধারায় দুটি শর্তে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি এখন মুক্ত চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং প্রত্যেক ছয় মাস পর যেটা বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার অবস্থা বিবেচনা করেই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল হক।
দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকা (ডিইপিজেডে) বিভিন্ন কারখানার মালিক শ্রমিক ও বেপজার কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এসময় আরও বলেন,আইনের ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়া দ-প্রাপ্ত হওয়ার পরেও সরকার তার সাজা স্থগিত করে মুক্ত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাঅনুভবতা হওয়ায় কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,বর্তমান সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন যাতে করে শ্রমিকরা ভালো থাকতে পারেন বলেও বলেন তিনি।পরে তিনি ডিইপিজেড এর ভিতরে দুটি গামেন্টস পরিদর্শন করে শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন।
কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি বিনিয়োগকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং বিরাজমান শান্তিপূর্ণ কর্ম পরিবেশ প্রত্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কল্যান সমিতি (ডাব্লিউ ডাব্লিউ এ) গঠন পক্রিয়া, শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনি¤œ মজুরির হার নির্ধারন, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারনে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করেন।
বেপজাধীন আটটি ইপিজেডের যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি ইপিজেডের বাইরের প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। প্রত্যেক ইপিজেডের শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা অর্থ্যাৎ কমপ্লায়েন্স ৯৯% নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বেপজা শতভাগ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের শ্রম-বান্ধব নীতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে ইপিজেডের কারথানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ও অন্যান্য সুবিদা ২০১০ সালে ৬০%, ২০১৩ সালে ৬৭% এবং ২০১৮ সালে ৪৭% বৃদ্ধি পেয়ে মাসিক বেতন ২১০০ টাকা থেকে বর্তমানে ৮২০০ টাকায় উন্নতী হয়েছে।
পাশাপাশি একজন শ্রমিক অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা হিসেবে খাদ্য অথবা খাদ্য ভাতা এবং যাতায়াতের জন্য গাড়ী অথবা ভাতা পেয়ে থাকেন।
এসময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও ডিইপিজেড এর মহা ব্যবস্থাপক আব্দু সোবাহান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।