কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন কাজকর্ম পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে প্রথমে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ক্লাসরুম সহ সুযোগ সু্বিধার খোঁজ খবর নেন।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখানে হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাঃ মুমিনুর রহমান সহ অন্যান্য ডাক্তার নার্সরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বলেন।
পরে জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য নিবীড় পরিচর্যা কেন্দ্র এবং নতুন তৈরি অপারেশন থিয়েটার উদ্বোধন করেন। পরে কক্সবাজারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান এবং শাহ্ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবির, পরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডাঃ শামিউল ইসলাম, বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট ডাঃ মোমিনুর রহমান, কানাডিয়ান রেড ক্রস এর কান্ট্রি ফোকাল ডাঃ সুকন্যা প্রীতি সহ সিভিল সার্জন কার্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বক্ষ্যব্যধী হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, নার্সিং ইন্সটিটিউট-এর শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর অংশগ্রহন করেন।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, “কক্সবাজারের মানুষ সাগর পাড়ের মানুষ, তাদের মন ও সাগরের মতই বিশাল। বিশাল মন নিয়েই তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে”। তিনি করোনা মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম ও এশিয়ায় ১ম স্থান অধিকার করেছে মর্মে উল্লেখ করে বলেন, আমরা চাইলেই পারি তার উদাহরন হচ্ছে করোনা অতিমারী মোকাবেলা। ভবিষ্যতে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স মোকাবেলা ও শতভাগ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সফল করার উপর জোর দেন। দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচিরেই ব্লাড ব্যাংক ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু করার ঘোষণা দেন এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উর্ধমূখী সম্প্রসারন করে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগীর চাপ মোকাবেলা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট ডাঃ মোমিনুর রহমান, মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহফুজুল হক ও এমওসিএস ডাঃ ইমরুল কায়েস কক্সবাজার জেলার স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনার বিভিন্ন ঘাটতি ও চাহিদা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করেন।