মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আ.লীগের সতর্কতায় বিফল: তথ্যমন্ত্রী   সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছে সরকার: কাদের   নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু   ‘কিছুই করি নাই শ্রেণিটা’ চোখ থাকতেও দেখে না: প্রধানমন্ত্রী   রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমনি   সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদো   বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
দশমবারের মতো বাড়ালো বিতর্কিত ৪৬৯ ঠিকাদারের মেয়াদ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:২৮ পিএম

আরও একদফা বাড়ানো হলো বান্দরবান, রাঙামাটি খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম ডিআরটিসির বিতর্কিত ঠিকাদারদের মেয়াদ। ২৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) এ মেয়াদ বৃদ্ধিপত্র ইস্যুকরেছেন চট্টগ্রামের আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, চট্টগ্রামের আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, নগরের দেওয়ানহাট ও হালিশর দুই সিএসডি, পতেঙ্গা সাইলোর কর্মকর্তা, পরিবহন ঠিকাদার আর অসাধু ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি সংঘবব্ধ চালচোর সি-িকেট। আর চট্টগ্রামের আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ সি-িকেটের হয়ে ১০ম বারের মতো কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন। 

যদিও মানবাধিকার সংগঠন, চট্টগ্রামের সচেতন মহল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ দীর্ঘদিন পর্যন্ত দাবি জানিয়েছে আসছেন, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিরি ট্রাকেই সরকারি খাদ্য পরিবহন কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে কোনো ধরণের ভ্রুক্ষেপ করছেন না চট্টগ্রামের আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। 

চট্টগ্রাম আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, চট্টগ্রামে মুলত পরিবহন ঠিকাদারদের সহায়তায় সরকারি খাদ্যগুদামের চাল কালোবাজারে পাচায় হয়ে যায়। আর এই চাল বিক্রির একটা কমিশন বিভিন্নহাত ঘুরে পৌঁছে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ অনেক কর্মকর্তার পকেটে।  

সংশ্লিষ্টরা জানান,  পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুযায়ি ২ বছর পরপর নতুন ঠিকাদার নিয়োগের নিয়ম রয়েছে। তবে গত চার বছরেও তা করেননি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থাটি। জুনে শেষ সময়ে দেওয়ানহাট খাদ্যগুদাম ও নগরের চাক্তার এলাকায় বেশকিছু  চোরাই চাল ধরা পড়ে। এ খবর প্রকাশ হতেই দায় এড়াতে তড়িগর ঠিকাদার তালিকাভুক্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান। গত ৪ জুন ঢাকার একটি প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিকসহ তিনটি পত্রিকায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। 

এর আগে গত ২৩ জুন নবম বারের মতো এ কর্মকর্তা তিন মাসের জন্য পুরোনো বিতর্কিত ঠিকাদারদের মেয়াদ বাড়িয়ে অফিস আদেশ জারি করেন। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে নিয়োগকৃত ৪৬৯ ঠিকাদারের মেয়াদ এভাবেই দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সূত্র জানায়, ঠিকাদার তালিকাভুক্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর পুরোনো বিতর্কিত ও চালচোর সি-িকেটদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে চট্টগ্রাম আ লিক খাদ্যনিয়ন্ত্রক। সেখানে আরসি ফুডের দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকার একটি আদালতে কথিত নিরাপত্তাহিনতা ও সংঘর্ষের অভিযোগ এনে এক ব্যক্তিকে দিয়ে মামলা করার। এর দুইদিন পরই ২৮ জুলাই ডিআরটিসির চলমান ঠিকাদার নিবন্ধন কার্মক্রম এক নোটিশে বন্ধকরে দেন।

এ বিষয়ে সুজন চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক এডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বলেন, সততা স্বচ্ছতার জায়গা থেকে যদি মনিটরিংটা আরও শক্তিশালী করা না যায়, জবাবদিহীতার আওতায় আনা না যায়, তাহলে যেভাবে চলছে এভাবেই চলবে। তাহলে মূল নেপথ্যের নায়ক যারা, তারা পর্দার অন্তরালেই থেকে যাবে। 

সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে জানা যায়, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী আর চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ৬ জন অসাধু ব্যবসায়ীর অন্তত ২৫ টি গুদামে সরকারি চোরাই চালের ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন ধরে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় পাহাড়তলীর ফারুক ট্রেডিং আর খাতুনগঞ্জের মেসার্স বেলাল ট্রের্ডিং অন্যতম। প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউ কথা না বললেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্যবসায়ী সমিতি। 

এ প্রসঙ্গে পাহাড়তলী চাল ব্যবসায়ী সমিতির সধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, আমাদের এখানে যে মালগুলো আসে, আমাদের মতো কেও ডিও’র মালগুলো কিনে, পরে তাদের কাছ থেকে অন্য আরও অনেকে কিনে নেয়, ব্যবসা করে। 

গত ২৮ জুন দিনগত রাতে চাক্তাই বেলাল ট্রেডিংয়ের গুদামে সরকারি চাল নামানোর (আনলোড) সময় ১৫ মেট্রিক টন (এক ট্রাকে ৩০৩ বস্তা) চাল জব্দ করে পুলিশ। আটক এসব সরকারি চাল ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ছাড়িয়ে চেষ্টাকরে বেলাল ট্রেডিং এর মালিক বেলাল উদ্দিন ও তার ছোটভাই হেলাল উদ্দিন। তবে এ চাল চুরির ঘটনায় রহস্যজনক কারণে ট্রাকের চালক ছাড়া মামলায় অন্য কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি চাল উদ্ধারের প্রতিটি ঘটনায় মামলার বিবরন এমনই। ফলে চাল চুড়ির নেপথ্যের কারিগররা থেকে যায় অধরাই। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আ লিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান কোনো কথা বলতে রাজি হননি। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com