
আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের একটি পরিবারের কথা বলবো। তবে কৌশলগত কারণে সেই পরিবারের নাম বলবো না। কিন্তু এই পরিবারের সবাই চোর।
আমি যার কথা বলছি, সে অনেকবার এমপি ছিল। তার ছেলে এমপি। মানে একই সঙ্গে একই পার্লামেন্টে বাপও এমপি, ছেলেও এমপি, ভাইও এমপি। এরপরে তার জামাইও এমপি ছিল।
তারপরে তার বেহাইও এমপি ছিল, মন্ত্রী ছিল। তার আত্মীয়স্বজন সবাই এ রকম মন্ত্রী এমপি।’
‘কিন্তু যেখানে যেখানে তার আত্মীয়স্বজন আছে সবাই চোর। কেউ বড় চোর, কেউ ছোট চোর, কেউ ডাকাত এবং একই সঙ্গে এদের চরিত্রও ভালো না। এরকম একটা চোর পরিবার আমেরিকাতে আছে।
আমেরিকাতে আশ্রয় নিয়েছে এই বিপদের এই সময়টিতে। এখন একজন আওয়ামী লীগের সমর্থক আমাকে মাঝে মাঝে টেলিফোন করেন এবং তিনি বলেন, রনি ভাই বহুদিন ধরে আমেরিকাতে আছি। সকাল থেকে রাত অবধি ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করি। দুটো ডাল ভাত যোগাড় জান বের হয়ে যায়।
‘এই যে আমেরিকাতে আমি যেখানে আছি, আমার পাশে সবচেয়ে দামি একটা বাড়ি আছে। বাপ-বেটা এসে এখানে আছে। এখানে বাপের রোলস রয়েস গাড়ি, ছেলের রোলস রয়েস গাড়ি। আর এই বাপ-বেটা চোর এই রোলস রয়েস গাড়িতে করে মসজিদে যায় নামাজ পড়ার জন্য। আমরা যারা দেখি লজ্জায় আমাদের একবার মনে হয় থাপড়াইয়া গাল ফাটায় ফেলি, কিন্তু পারি না। দ্বিতীয়ত এরা এই যে রোলস রয়েস গাড়িতে আসে এদের কোনো লজ্জা শরম নাই।’
‘ওরা যে রোলস রয়েস গাড়িতে আসে এটা দেখে আমরা লজ্জায় মরে যাই। যেহেতু আমরা ওখানে কমিউনিটিতে সবাই আমাদেরকে আওয়ামী লীগ হিসেবে জানে। ওখানে জামায়াতের লোক আছে। তারপরে বিএনপির লোক আছে। অন্যান্য দলের লোক আছে। তো আমাদেরকে খোটা দেয় যে এই দেখো, তোমাদের চোর ফ্যামিলি বা চোর আসছে। ওই দেখ ওই বাড়িতে থাকে, চোরের বাড়ি। ওদের এই সকল কথাবার্তা আমরা যখন শুনি, লজ্জায় মানে মাথা নুয়ে থাকি। কিন্তু ওই চোরের দল তারা হাসি মুখে আসে।
রনি বলেন, আমি ওই চোর ফ্যামিলিটাকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে চিনি। রাজনীতি তাদের ব্যবসা, তারা জনগণের টাকা মারছে। তারা অনেক বড় বড় মানুষের টাকা মেরেছে। সব জায়গাতে তারা এই চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করার জন্য তারা পরিবারতন্ত্রকে যেভাবে ব্যবহার করেছে এটা বিরল।