প্রকাশ: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১০ পিএম আপডেট: ০১.০২.২০২৫ ১০:১৫ PM

বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশি যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। এক সময় শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঁশিওয়ালার আনাগোনা দেখা গেলেও দিন দিন তা হারিয়ে যাচ্ছে।
তবে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও এটি ধরে রেখেছেন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মো. ওয়াহিদ। সবাই তাকে বাঁশিওয়ালা ওয়াহিদ নামে চেনেন। প্রায় ২০ বছর যাবৎ বাঁশি বিক্রি সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
এতদিন ধরে বাংলার ঐতিহ্য এই বাঁশিকে তিনি ধরে রেখেছেন। বাঁশি বিক্রি করে যা পান, তা দিয়ে তার সংসার চলে কোনোমতে। গ্রামের মানুষের কাছ থেকে নলি বাঁশ কেনেন। এসব বাশ রোদে শুকিয়ে তিনি আড় বাঁশি, মোহন বাঁশি ও বীণ বাঁশি বানান। দৈনিক ছোট, বড় ও মাঝারি বিভিন্ন মাপের প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি বাঁশি বানাতে পারেন। এ কাজে তার স্ত্রী সহযোগিতা করেন। চার-পাঁচ দিন পরপর তিনি ২০০ থেকে ২৫০টি বাঁশি বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্থানে বাঁশিপ্রিয় মানুষের কাছে ছুটে যান। প্রতিটি ছোট আকারের বাঁশি ২০-৪০ টাকা, মাঝারি ৬০-৭০ টাকা এবং বড় ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করেন।
চাহিদা থাকলেও অর্থের অভাবে তিনি পাইকারিভাবে বিক্রি করতে পারছেন না। বাঁশি বানানোর পাশাপাশি তিনি সুমধুর সুরে বাজাতেও পারেন। আর তাই বাঁশিপ্রিয় মানুষরা আকৃষ্ট হয়ে বিনোদনের জন্য তাকে নিয়ে যান।