
দেশের সরকারি কলেজগুলোকে এ, বি, সি ও ডি, মোট চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ এ ক্যাটাগরিতে বাকি ৬টি সরকারি কলেজ সি ক্যাটাগরিতে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে প্রশাসনিক প্রয়োজনে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস ও সাবসিডিয়ারি), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সরকারি কলেজগুলোকে পৃথক চার ক্যাটাগরিতে বিভাজন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যেসব কলেজে ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এবং ১০টির বেশি অনার্স বিষয় রয়েছে, সেগুলোকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। এই শর্ত অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কেবল নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছে। সারাদেশে মোট ৮১টি কলেজ এই তালিকায় রয়েছে।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে সেই সব কলেজকে, যাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪,৫০০ থেকে ৮,০০০ এর মধ্যে এবং যেসব কলেজে ৫টির বেশি অনার্স বিষয় চালু রয়েছে। যদিও সারা দেশে ৭৪টি কলেজ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোন কলেজই এখানে স্থান পায়নি।
অন্যদিকে, ৪,৫০০ শিক্ষার্থীর কম এবং ১ থেকে ৪টি অনার্স বিষয় রয়েছে, এমন কলেজগুলোকে রাখা হয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। এই ক্যাটাগরিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৬টি সরকারি কলেজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয়টি কলেজ রয়েছে। এগুলো হলো- শিবগঞ্জের আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, নাচোল সরকারি কলেজ, রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ, ভোলাহাট সরকারি মহিলা কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর কলেজ।
এ বিষয়ে আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ মাজহারুল ইসলাম তরু বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তবে রেজাল্ট সহ শিক্ষার্থীদের অবস্থান বিষয়ে ক্যাটাগরি করা হলে ভালো হতো। তিনি আরও বলেন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের পরিমানে ক্যাটাগরি করা হয়েছে।